মুম্বই: বর্ডার গাওস্কর ট্রফির শেষ টেস্টে আমদাবাদে দুরন্ত শতরান হাঁকিয়েছেন বিরাট কোহলি। ১৮৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এটিই বিরাটের টেস্ট কেরিয়ারের সর্বোচ্চ স্কোর। ম্যাচের পর কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথোপকথনে উঠে এল অনেক অজানা বিষয়। সেই সাক্ষাৎকারে দ্রাবিড়কে বলতে শোনা যায়, ''একজন খেলোয়াড় হিসেবে তোমার সঙ্গে খেলার সময় তোমার ব্যাটে অনেক সেঞ্চুরি দেখেছি। অবসরের পরও আমি টিভিতে তোমার অনেক টেস্ট সেঞ্চুরি দেখেছি, কিন্তু গত ১৫-১৬ মাসে আমি টেস্ট সেঞ্চুরি দেখিনি। যখন আমি দলের কোচ হলাম তারপর থেকে তোমার টেস্ট সেঞ্চুরি দেখার জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করেছিলাম, কিন্তু অবশেষে সেটি দেখতে পেলাম।''


বিসিসিআই টিভির তরফে এক ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে বিরাট বলছেন, ''আমি সবসময় মনে করি তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোটা একটা মানসিক চাপ তৈরি করে। আমরা প্রত্যেকেই জানি কার কি দায়িত্ব। তবে এমনও না যে আমি ৪০ বা ৫০ রান করে খুশি থাকি না। আমি এমন একজন মানুষ যে দলের কখনই ব্যক্তিগত মাইলস্টোনগুলিতে বিশ্বাস করি না। আমি সবসময় দলের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলি এবং সেই সময়ে আমি যদি সেঞ্চুরি করি। যদি এটি ঘটে তবে তা হয়। আমরা যদি দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য খেলি তাহলে শতরান হতে পারে।’ আমদাবাদে টেস্ট সেঞ্চুরি এবং একটি সংমিশ্রিত ইনিংসের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার বিষয়ে, বিরাট বলেছেন, ‘আমি জানতাম এই পিচটি ফ্ল্যাট। সেই কারণেই প্রথম ১০০ রানে মাত্র চারটি চার ছিল। অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা ভালো জায়গায় বল পিচ কর ছিলেন। রাফ ব্যবহার করছিলাম, কিন্তু আমি জানতাম যদি খেলতে থাকি, রান অবশ্যই আসবে। আর তাই হয়েছে।''


দ্রাবিড়ের প্রশ্নের উত্তের বিরাট আরও বলেন, ''আমি চারটি সেশন ব্যাট করতে পারি, আমি পাঁচটি সেশন ব্যাট করতে পারি, সেখানেই ফিটনেস এবং শারীরিক প্রস্তুতি আমার জন্য কাজ করে। আমি বিশ্রাম নিতে মাঠে যাই কারণ আমি জানি আমি বিভিন্ন উপায়ে ব্যাট করতে পারি। উল্লেখ্য, আমদাবাদ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৬৪ বলে ১৮৬ রানের ইনিংস খেলেন বিরাট। নিজের ইনিংসে কোনও ছক্কা না হাঁকালেও ১৫টি বাউন্ডারি হাঁকান। এর আগে শেষ বার ২০১৯ সালে ইডেন গার্ডেন্সে গোলাপি বলের টেস্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন বিরাট।