নয়াদিল্লি: অনেকের মতে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) জন্যই না কি আম্বাতি রায়াডু (Ambati Rayudu)২০১৯ সালের বিশ্বকাপে জাতীয় দলে নিজের জায়গা হারিয়েছিলেন। রায়াডুর খেলাকে কোহলি পছন্দ না করার ফলে তাঁকে বাদ পড়তে হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রিতক অতীতের এইসব রিপোর্টের পর যা প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত, তার একবারে পরিপন্থী এক মত প্রকাশ করলেন আম্বাতি রায়াডু। কোহলির পাশেই দাঁড়াতে দেখা গেল তাঁকে।
বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে টিম ইন্ডিয়ার ব্যর্থতার পরেই সকল ভারতীয় ক্রিকেটারদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। বিসিসিআইও আগেই জানিয়েছিল জাতীয় দলে নির্বাচিত হতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেই হবে। সেইমতো রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্থরা রঞ্জি খেলতে আগেই নেমেছিলেন। রেলওয়েজের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ১৩ বছর পর আবারও কোহলিকে রঞ্জি ট্রফি খেলতে দেখা যায়। তবে রায়াডুর মতে কোহলির মতো ক্রিকেটারদেরকে কোনও কিছু করার জন্য বাধ্য করা উচিত নয়।
তিনি লেখেন, 'বিরাট কোহলির রঞ্জি খেলা বাধ্যতামূলক নয়। এই টেকনিক নিয়েই তো ও ৮১টি শতরান হাঁকিয়েছে, তাই আগেও এই টেকনিক নিয়েই ও সাফল্য পেতে পারে। কেউ ওর অনিচ্ছা সত্ত্বেও ওকে কিছু করার জন্য জোর করতে পারে না। ওর মানসিকভাবে ভাল জায়গায় পৌঁছতে খানিকটা সময় লাগবে। ওর ভিতরের আগুন আপনা আপনিই আবার জ্বলে উঠবে। পাতি ভাষায় ওকে সম্মান করা উচিত এবং ওর ওপর আস্থা রাখার প্রয়োজন। আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, ওকে ওর মতো থাকতে দেওয়া প্রয়োজন।'
কোহলির রঞ্জি ট্রফি প্রত্যাবর্তন কিন্তু খুব একটা সুখকর হয়নি। তিনি প্রথম ইনিংসে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে মাত্র ১৫টি বল ক্রিজে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সংগ্রহ মাত্র ছয় রান। একটি চার মারার পরেই বলেই হিমাংশু সাঙ্গওয়ান কোহলির অফ স্টাম্প ভেঙে দেন। এহেন খারাপ ফর্মের মধ্যে রায়াডুর কোহলির পাশে দাঁড়ানো কিন্তু বেশ উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুন: সতীর্থদের কাঁধে চেপে মাঠ ছাড়লেন ঋদ্ধি, পাঞ্জাবকে ইনিংসে হারিয়েও রঞ্জি সফর শেষ বাংলার