ক্রাইস্টচার্চ: নব্বইয়ের দশক দেখেছে জন্টি রোডসকে। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা মনে রাখবেন যুবরাজ সিংহ, মহম্মদ কাইফদের। ফিল্ডিংয়ে বর্তমান সময়ে বারবার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাডেজা, ফাফ ডু প্লেসি, এবি ডিভিলিয়ার্সরা। এঁরা প্রত্যেকেই ফিল্ডিংয়েও ম্য়াচের রং বদলে দিতে ওস্তাদ। সেই তালিকায় নিউজিল্যান্ডের আরও এক প্লেয়ার আছেন। তিনি গ্লেন ফিলিপস। ভারত সফরে কিউয়িরা যখন এসেছিল, তখন টেস্টে ফিলিপসের অলরাউন্ড পারফরম্য়ান্স নজর কেড়েছিল। আর সঙ্গে দুরন্ত ফিল্ডিং তাঁর। ঠিক যেন বোনাস। এহেন ফিলিপস ফের একবার শিরোনামে। বর্তমানে কিউয়ি সফরে টেস্ট সিরিজ খেলতে গিয়েছে ইংল্যান্ড দল। ক্রাইস্টচার্চে প্রথম টেস্টে দুরন্ত ক্যাচ লুফে বিশ্বজুড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কিউয়ি তারকা ফিলিপস।
ম্য়াচে ইংল্য়ান্ডের ব্যাটিংয়ের ৫৩ তম ওভারের খেলা চলছিল। বল করছিলেন টিম সাউদি। ক্রিজে তথন হ্যারি ব্রুক ও স্ট্রাইকে ওলি পোপ। সাউদির বলটি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের দিকে সুন্দরভাবে খেলেছিলেন পোপ। অন্য় কেউ হলে ওখান দিয়ে হয়ত নিশ্চিত বাউন্ডারি ছিল। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুললেন ফিলিপস। বাঁদিকে বাজপাখির মত শূন্য শরীর ছুঁড়ে ক্যাচ লুফে নিলেন ফিলিপস। সেকেণ্ডের ব্যবধান। কিন্তু অনায়াসে নিজের শরীরকে স্প্রিংয়ের মত নমনীয় করে সেই ক্যাচ লুফেই ফের উঠে দাঁড়িয়ে সেলিব্রেশন। এক পলকে এত কিছু দেখে মাঠে থাকা ১২ জন প্লেয়ারের সঙ্গে চমকে গিয়েছিলেন গ্যালারির দর্শকরাও।
সেই ক্যাচের ক্লিপস সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই প্রশ্ন উঠছে এটিই কি তবে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ক্য়াচ? পোপ ৭৭ রানের মাথায় ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন। তিনি নিজেও হয়ত ভাবতেই পারেননি যে এটিও ক্যাচ হতে পারে। নইলে যেই ছন্দে খেলছিলেন সেঞ্চুরি হয়ত নিশ্চিত ছিল। আটটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শেষ পর্যন্ত প্য়াভিলিয়নে ফিরতে হয় তরুণ পোপকে। ম্য়াচে নিউজিল্য়ান্ডের প্রথম ইনিংসে ৩৪৮ রানের পরিবর্তে রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্য়ান্ড দ্বিতীয় দিনের শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান তুলেছে বোর্ডে। হ্যারি ব্রুক শতরান হাঁকিয়ে অপরাজিত রয়েছেন। বেন স্টোকস ৩৭ রান করে ব্রুকের সঙ্গে ক্রিজে আছেন।