কলকাতা: বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট থেকে শুরু হল এশিয়ার প্রাচীনতম টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপ (Durand Cup 2023)। টুর্নামেন্টের ১৩২তম সংস্করণের প্রথম ম্যাচে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan Super Giant) এবং বাংলাদেশ আর্মি (Bangladesh Army)। এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হল। উদ্বোধনে সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। মুখ্যমন্ত্রী বলে লাথি মেরেই এই টুর্নামেন্টের শুভ সূচনা করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিজ্ঞতা
টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করার নিজের অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, 'আজ আমি ডুরান্ড কাপ ২০২৩-র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমার ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেতাদের সঙ্গে দেখা করার এবং কথা বলার সৌভাগ্য হয়। পাশাপাশি প্রতিভাবান ফুটবলারদের সঙ্গেও আমি সাক্ষাৎ করি এবং ওদেরকে আমি শুভেচ্ছাও জানাই। খেলাধুলো বরাবরই বাংলার গৌরবময় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও তাই সবসময় তরুণদের খেলাধুলা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে এবং খেলার পরিকাঠামোগত উন্নতি করতেও সচেষ্ট। আমরা ভবিষ্যতেও আমাদের ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের জন্য সঠিক মঞ্চ গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাবে। তাঁরা যাতে ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন নতুন মাইলফলক গড়ে, সেই বিষয়ে আমরা সবসময় সচেষ্ট। আশা করব খেলা যেন সবসময়ই একতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলে।'
ম্যাচের হালহকিকত
দাপুটে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করল সবুজ মেরুন। এক, দুই নয়, ৫-০ গোলে বাংলাদেশ আর্মিকে হারাল
মোহনবাগান। সবুজ মেরুনের হয়ে লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংহ, সুহেল ভট্ট, লালরিনলিয়ানাই নামতে এবং কিয়ান নাসিরি। ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবুজ মেরুনই নিজেদের দাপট অব্যাহত রাখে। ম্যাচের ১৫ মিনিটে ডান উইং ধরে রবি বাহাদুর রানার দুরন্ত রানের পর তিনিই কোলাসোকে বল পাস করেন। কোলাসো গোল করে সবুজ মেরুনকে ম্যাচে এগিয়ে দিতে কোনওরকম ভুল করেননি।
ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ আর্মি খানিকটা লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করেছিল বটে, তবে সেই সময়ই নামতেকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফাউল করা হয়। পেনাল্টি থেকে গোল করে মোহনবাগানের স্কোর দ্বিগুণ করেন মনবীর। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে কোলাসোর অনবদ্য চিপ পাস গোটা বাংলাদেশ আর্মি রক্ষণকে বোকা বানিয়ে দেয়। সুহেল ভট্ট চোখধাঁধানো গোল করেন। ৩-০ এগিয়ে যায় সবুজ মেরুন। প্রথমার্ধের শেষের দিকে ইনজুরি টাইমে বাংলাদেশের মিনাজুর রহমান কোলাসোকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড ও লাল কার্ড দেখেন। ফলে ১০ জনে নেমে যায় বাংলাদেশ আর্মি।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুর দিকে, ৫৮ মিনিটে কোলাসোর ফ্রি-কিক থেকে নামতে মোহনবাগানের চতুর্থ গোল করায় বাংলাদেশ আর্মির ম্যাচে ফেরার সমস্ত আশা শেষ হয়ে যায়। ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ঠিক এক মিনিট আগে, ৮৯ মিনিটে কিয়ান নাসিরি পঞ্চম গোলটা করেন। এ গোলেরও সৃষ্টিকর্তা পরোক্ষভাবে লিস্টন কোলাসোই। তাঁর শট বাংলাদেশ আর্মির কিপার সেভ করে দেওয়ার পর, ফিরতি বল থেকে ট্যাপ ইনে গোল করেন কিয়ান।