লাহোর: গতকালই প্রয়াত হয়েছেন পারভেজ মুশারফ (Pervez Musharraf)। ৭৯ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি (Ex President)। তাঁর আমলে ভারত-পাকিস্তান ২ দেশের সম্পর্কের অনেকটাই উন্নতি হয়েছিল। যার মেলবন্ধন বাড়িয়েছিল ক্রিকেট। সেই সময় ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হত প্রতিনিয়তই। ২০০৪ সালে তেমনই একটি পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সিরিজে একটি বিশেষ ঘটনা ঘটেছিল। যেখানে সৌরভকে পরবর্তীতে মুশারফের মুখোমুখি হতে হয়।
ঠিক কী হয়েছিল?
সিরিজের ফাঁকে একদিন রাতে লাহোরে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন সৌরভ। গাওয়ালমান্ডি বলে একটি জায়গা রয়েছে পাকিস্তানে। বন্ধুদের সঙ্গে সেখানেই গিয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু নিরাপত্তরক্ষীদের জানাননি তিনি। সৌরভ ভেবেছিলেন নিরাপত্তারক্ষীদের বললে তাঁরা হয়ত আটকে দেবেন। নিজের বেশভূষা বদলে খেতে গিয়েছিলেন সৌরভ। যদিও সেখানে কয়েকজন চিনতে পেরে গিয়েছিলেন সৌরভকে।
এই ঘটনার খবর মুশারফের কাছে পৌঁছলে তিনি দেখা করেন সৌরভের সঙ্গে। তিনি জানান, পরবর্তী সময়ে যদি বাইরে যেতে হয়, তবে যেন অবশ্যই জানানো হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। মাঝরাতে এভাবে বেরনো কোনওভাবেই যাবে না। সৌরভও মুশারফের কথায় সম্মতি জানিয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, গত তিন সপ্তাহ ধরে তিনি ‘অ্যামিলোইডুসিস’-এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। প্রসঙ্গত, মুশারফ পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই বাসে করে লাহোরে গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। তিনি যখন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির চেষ্টা করছিলেন।
কার্গিল যুদ্ধ ও মুশারফ ...
সালটা ১৯৯৮। শোনা যায়, সেই বছর মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত জেনারেল মুশারফের নির্দেশেই পাক সেনার নর্দার্ন লাইট ইনফ্যান্ট্রির সদস্যরা অনুপ্রবেশ করে জম্মু ও কাশ্মীরের কার্গিল সেক্টরের একাধিক স্ট্র্যাটেজিক পোস্ট দখল করে নেন। টের পেতেই 'অপারেশন বিজয়' শুরু করে বাজপেয়ীর ভারত। বাকিটা বেশ কিছুটা জানা। পাকিস্তানি সেনার হাত থেকে ফের অধিকৃত এলাকাগুলির দখল ছিনিয়ে নেয় ভারতীয় সেনা। কিন্তু এই যুদ্ধ কতটা জরুরি ছিল? আঙুল ওঠে জেনারেল পারভেজ মুশারফের দিকে। উপমহাদেশ তো বটেই, আন্তর্জাতিক মঞ্চের বড় অংশ এই যুদ্ধের মূল চিত্রনাট্যকার ও কারিগর হিসেবে দায়ী করে জেনারেল মুশারফকে।