কোয়েট্টা: পাকিস্তান সুপার লিগ (Pakistan Super League) শুরু হতে আর দিন কয়েক বাকি। তার আগে গোটা দেশব্যাপী খেলার প্রচার করার উদ্দেশ্যেই এক প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল পাকিস্তান বোর্ডের তরফে। কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটার্স ও পেশোয়ার জালমির সেই ম্যাচে বর্তমান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম (Babar Azam), প্রাক্তন পাক অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদির (Shahid Afridi) মতো তারকারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড।
বন্ধ ম্যাচ
এই ম্যাচ ঘিরে টিকিটের প্রবল চাহিদা ছিলই। খবর অনুযায়ী স্টেডিয়ামের মোট লোকসংখ্যার থেকে অধিক টিকিট বিক্রি হওয়ায় বেশ কিছু সমর্থক মাঠেই প্রবেশ করতে পারেননি। এর ফলে ক্ষুব্ধ সমর্থকরা মাঠের বাইরেই আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখান। সমর্থকদের একাংশ মাঠে উপস্থিত খেলোয়াড়দের দিকে পাথরও ছোড়েন বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, খবর অনুযায়ী মাঠ থেকে মাত্র চার কিলোমিটার মতো এক বিস্ফোরণও ঘটে। সেই বিস্ফোরণে পাঁচ জন আহত হয়েছে বলেই খবর। এই ঘটনার পরেই দ্রুত খেলোয়াড়দের মাঠ থেকে সরিয়ে আনা হয়।
তবে গোটা বিষয়টিই সুরক্ষার খাতিরেই করা হয়েছিল বলে এক পুলিশ আধিকারিক জানান। পিটিআইের রিপোর্ট অনুযায়ী এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে পুলিশ আধিকারিক বলেন, 'বিস্ফোরণ হওয়ার পরেই সুরক্ষার খাতিরে সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচ থামানো হয় এবং খেলোয়াড়দের কিছু সময়ের জন্য সাজঘরে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়। তবে পরে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আসার পরেই তাঁরা আবার মাঠে ফেরেন।' এই বিস্ফোরণের পর আধ ঘণ্টা মতো ম্যাচ বন্ধ থাকে। তারপরে অনেক খেলোয়াড়রাই আর মাঠে নামতে চাননি। তবে শেষমেশ ম্যানেজমেন্টের অনুরোধে সকলেই মাঠে নামেন।
ভিন্ন রিপোর্ট
অবশ্য এই রিপোর্টের পাশাপাশি পড়শি দেশের মিডিয়ায় আরেকটি রিপোর্টও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দাবি করা হচ্ছে ম্যাচটি বিস্ফোরণের জন্য নয়, বরং মাঠে উপস্থিত সমর্থকদের ঝামেলার জেরেই বন্ধ করা হয়। যদিও এই গোটা ঘটনার বিষয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, বালোচিস্তানের ক্রিকেট অনুরাগীদের অনুরোধেই পিসিবি এই ম্যাচের আয়োজন করেছিল। এইসব ঝামেলার মাঝেই এক রোমহর্ষক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সাক্ষী থাকেন মাঠে উপস্থিত দর্শকরা। ঘরের মাঠে পেশোয়ার জালমিকে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে তিন রানে হারিয়ে জয়ী হয় কোয়েট্টা।
আরও পড়ুন: পাকভূমে এশিয়া কাপ না খেললে বিশ্বকাপ বয়কট করার হুঁশিয়ারি পিসিবি প্রধানের!