নয়াদিল্লি: চোটের কারণে বেশ কয়েকদিন মাঠের বাইরেই ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। তিনি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ তো খেলতে পারেননি, মাঠে নামতে পারেননি অজিদের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টেও। তবে মঙ্গলবারই ভারতীয় বোর্ডের তরফে জানানো হয় শ্রেয়স ফিট এবং তিনি ভারতীয় দলে (Team India) যোগ দিচ্ছেন। দলে তো যোগ দিয়েছেন, কিন্তু নয়াদিল্লিতে দ্বিতীয় টেস্টে (IND vs AUS 2nd Test) ভারতীয় একাদশে কী খেলার সুযোগ পাবেন শ্রেয়স?
ফিট হলেই একাদশে
সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) কিন্তু জানাচ্ছেন শ্রেয়স সম্পূর্ণ ম্যাচ ফিট হলে তিনি কিন্তু সরাসরি ভারতীয় একাদশে ফিরবেন। তিনি বলেন,'ও যদি ফিট থাকে, ম্যাচে নামার জন্য প্রস্তুত হয়, পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচ খেলার মতো অবস্থা থাকে, তাহলে নিঃসন্দেহে ও সরাসরি ভারতীয় একাদশে ফিরবে। সাম্প্রতিক অতীতের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ওর তো দলে ফেরারই কথা।'
অনুশীলনের পর সিদ্ধান্ত
শ্রেয়স চোট সারিয়ে মাঠে ফিরতে পারায় কিন্তু রাহুল দ্রাবিড় ভীষণই খুশি। তিনি অবশ্য শ্রেয়সের ফিটনেস নিয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নন। বৃহস্পতিবার অনুশীলনের পরেই তাঁকে দ্বিতীয় টেস্টে খেলানো হবে কি না, তা নির্ধারণ করা হবে। 'চোট সারিয়ে কেউ দলে ফিরলে খুশি তো হয়ই। চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকার অনুভূতিটা না ব্যাক্তিগত, না দলগতভাবে সুখকর। ও ফেরায় আমি ভীষণ খুশি। দুইদিন অনুশীলন করার পরেই ওকে খেলানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজকে (বুধবার) দীর্ঘক্ষণ অনুশীলন করেছে ও, কাল কেমন অনুশীলন করে সেটা দেখতে হবে।' বলেন ভারতীয় কোচ।
পূজারার শততম টেস্ট
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক মাইলফলক স্পর্শ করতে চলেছেন চেতেশ্বর পূজারা (Cheteshwar Pujara)। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় (অধুনা অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম) প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে ম্যাচ হবে পূজারার কেরিয়ারের একশোতম টেস্ট। যে ম্যাচ দেখতে হাজির থাকবেন বিশেষ দু'জন। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিকদের পূজারা বলছিলেন, 'বাবা অরবিন্দ পূজারা আসছেন। বাবাই আমার প্রথম কোচ। ওঁর জন্যই ক্রিকেট খেলা শুরু হয়েছিল। স্ত্রী পূজা আসছে। পরিবার, বন্ধুদের ধন্যবাদ। কেরিয়ারে অনেক কিছু অর্জন করেছি।'
টেস্ট অভিষেক ২০১০ সালে। বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। পরের ১৩ বছর ধরে ভারতীয় মিডল অর্ডারে তিনি হয়ে উঠেছেন নতুন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। এত দীর্ঘ কেরিয়ারের রহস্য উন্মোচন করেছেন পূজারা। বলেছেন, 'মানসিকভাবে মজবুত হতে হয়। ক্রিকেটার হিসাবে নিজের দক্ষতায় বিশ্বাস রাখতে হয়। আমি গোটা কেরিয়ার সেটাই করে এসেছি। সেভাবেই সফল হয়েছি। জানি কী করে প্রথম ৫-৬ বছর সফল হয়েছিলাম। নিজের খেলা কখনও পাল্টানো যায় না। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের নিজস্ব খেলার ধরন রয়েছে। ক্রিকেটার হিসাবে উন্নতি করতেই হয়। আমিও বেশ কয়েকটি শট পরে যোগ করেছি। তাতে উপকৃত হয়েছি।'
আরও পড়ুুন: স্টার্কের মন্তব্যে দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অংশগ্রহণ করা নিয়ে জল্পনা বাড়ল