নবি মুম্বই: বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা তো আগেও হয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে সেবার দলে থেকেও দেশকে জেতাতে পারেননি হরমনপ্রীত কৌর। কিন্তু ক্যাপ্টেন হিসেবে সুদে আসলে মিটিয়ে নিলেন। বিশ্বচ্য়াম্পিয়ন তাঁর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মহিলা ওয়ান ডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল টিম ইন্ডিয়া। ৫২ রানে জয় পেল ভারত।

Continues below advertisement

২০২৩ সালে দেশের মাটিতেই ছেলেদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আসর বসেছিল। ফাইনালে উঠেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে যেতে হয় সেবার। যে হারের যন্ত্রণা এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন রোহিত শর্মা। এদিন ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে এসেছিলেন জেমাইমা, স্মৃতিদের উৎসাহ জোগাতে। নিজে না পারলেও হরমনপ্রীত যে পেরেছেন, তাতে নিঃসন্দেহে খুশি হবেন হিটম্য়ান

ফাইনালের মঞ্চ তৈরিই ছিল। গ্যালারির যেদিকেই তাকানো যায়, নীল ঢেউ। ছোট ছোট প্ল্যাকার্ড হাতে আট থেকে আশি ভিড় করেছিলেন। তারকাখচিত ভিআইপি বক্সে নজর কাড়ছেন সচিন, গাওস্কর, লক্ষণরা। কিন্তু খেলা শুরুর আগেই বিপত্তি। তাল কাটল বৃষ্টি। ভিজল মাঠ। যার জেরে টস ও ম্য়াচের সময়ও পিছিয়ে গেল। যদিও শেষ পর্যন্ত ওভার সংখ্য়া কমেনি। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন লরা উলভার্ট। ২ ওপেনার স্মৃতি ও শেফালি শুরু থেকেই চালিয়ে খেলা শুরু করেন। বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন শেফালিস্কোয়াডেই ছিলেন না। সেমিফাইনালে প্রথমবার নেমে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। কিন্তু ফাইনালে পুরো পয়া উসুল পারফরম্য়ান্সসেঞ্চুরির সুযোগও ছিল। কিন্তু ৭৮ বলে ৮৭ রানে থামলেন। সাতটি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা দিয়ে সাজানো ইনিংস। স্মৃতি তার আগেই ৪৫ করে ফিরলেন আগের ম্য়াচের'নায়ক' জেমাইমাহরমন এদিন বড় রান পাননি। তবে লোয়ার অর্ডারে দীপ্তি ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ২৯৮ এ থামে ভারতের ইনিংস। যদিও শেষ ২০ ওভারে রানের গতি অত্যন্ত স্লথ হয়ে গিয়েছিল। নইলে তিনশোর গণ্ডি পেরিয়ে যেত ভারত।

Continues below advertisement

ইতিহাস বলছিল বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে ভারতের এই স্কোর ছিল দ্বিতীয় সর্বাধিক। এর আগে ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ৩৫৬ রান বোর্ডে তুলেছিল প্রথমে ব্যাট করে। ২৯৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা কিন্তু রান তাড়া করার ক্ষেত্রে যে কোনও বড় দলকেই চাপে ফেলে। তার ওপর যদি হয় বিশ্বকাপ ফাইনালভারতীয় বোলারদের সামনে সবচেয়ে বড় বাধা ছিলেন প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন লরা উলভার্ট। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ঝোড়ো ১৬৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এদিনও তিনি থাকলেন। শতরানও হাঁকালেন। তবে ১০১ রানে দীপ্তির বলে তিনি ফিরতেই ভারতের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। তার আগে বল হাতে ভেল্কি দেখান শেফালিবিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডেই ছিলেন না। প্রতিকা রাওয়াল চোট পেয়ে ছিটকে যেতেই ভাগ্য খুলে যায়। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ম্যাচের সেরা হয়ে গেলেন ২১ বছরের তরুণী। ব্যাটে অর্ধশতরানের পর বল হাতে তুলে নেন ২ উইকেটএছাড়া বল হাতে ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার এদিন দীপ্তি। কেন তিনি বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্য়ে পড়েন, তা গোটা টুর্নামেন্টে বুঝিয়ে দিলেন। এদিনও ঝুলিতে পুরলেনউইকেট। যার মধ্য়ে রয়েছে উলভার্টের উইকেটটিও