মুম্বই: টেনিস কোর্ট থেকে অবসর নিয়েছেন। এবার ক্রিকেটের ব্যাট হাতে নেমে পড়লেন সানিয়া মির্জা (Sania Mirza)। আরে না না, অবাক হওয়ার কিছু হয়নি। ক্রিকেটের ২২ গজে না নামলেও এবার স্মৃতি, হরমনপ্রীতদের (Harmanpreet Kaur) নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় টেনিসের গ্যামার গার্ল। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ (Womens Premier League) কীভাবে মহিলা ক্রিকেটের মানকে আরও উন্নত করেছে, সে কথাও উল্লেখ করলেন সানিয়া। 


৬ বারের গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী সানিয়া যদিও ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত দীর্ঘদিন ধরেই। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে আরসিবির মেন্টরও তিনি। এক সাক্ষাৎকারে সানিয়া বলছেন, ''একজন দেশবাসী হিসেবে। একজন দেশের সু নাগরিক হিসেবে আমাদের অনেক অনেক বেশি দায়িত্বসম্পন্ন মানুষ হতে হবে। আমাদের দেশের মেয়েরা যাতে তাঁদের স্বপ্নপূরণ করতে পারে। সেই খেয়াল রাখতে হবে। মেয়েদের উন্নতিতে সামিল করতে হবে নিজেদের। তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যে কোনও বিভাগেই যেন তাঁরা এগিয়ে যেতে পারে। হয়ত বিষয়টা ধীরে ধীরে হবে। কিন্তু আমাদের পাশে থাকতে হবে সবসময়।''


এরপরই উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের উদাহরণ টেনে সানিয়া আরও বলেন, ''উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ কিন্তু মহিলা ক্রিকেটে এক দিগন্ত খুলে দিয়েছে। মেয়েরা আগেও ক্রিকেট খেলত। কিন্তু যে পরিমাণ পরিচিতি সম্মান পুরুষ ক্রিকেটাররা পেতেন, ততটা পেত না তাঁরা। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। সম্মান ও জনপ্রিয়ত দুটোই বেড়েছে। মেয়েদের ক্রিকেট খেলা দেখতেও দর্শকরা মাঠে ভিড় বাড়াচ্ছেন। অনেক কমবয়সি মেয়েরা এখন ক্রিকেটে এগিয়ে আসছে। তাঁরা বিশ্বের বড় বড় নামজাদা মহিলা ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলতে পারছে, তাঁদের বিরুদ্ধে খেলছে। নিজেদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে।''


একজন নারী একজন মা, আবার একজন ক্রীড়াব্যক্তিত্বও। বিষয়টা কতটা চ্যালেঞ্জিং? সানিয়া বলছেন, ''অবশ্যই এটা কঠিন কাজ। অত সহজ না। একজন মা হয়েও আমি খেলতে পেরেছি। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছি। এটা সত্যিই আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির মুহূর্ত ছিল। দায়িত্ব সামলানোর চেষ্টা করে গিয়েছি সবসময়। দুটো দিকই ব্যালান্স করার চেষ্টা করেছিলাম আমি।''


উল্লেখ্য, সানিয়া মির্জা গতবছরই টেনিসকে বিদায় জানিয়েছেন পুরোপুরি ভাবে। এরই মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও তোলপাড় হয়েছে। শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে। শোয়েবও তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন কিছুদিন আগেই। যদিও নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনওদিন মুখ খোলেননি সানিয়া।