লন্ডন: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের (WTC Final 2023) শেষ দিনেও নতুন ইতিহাস গড়ার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। খেতাব জয়ের জন্য রেকর্ড ৪৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ দিনে ৯৭ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৮০ রানের, হাতে ছিল সাত উইকেট। লক্ষ্য কঠিন হলেও, অসম্ভব ছিল না। ভারতের হয়ে ক্রিজে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও অজিঙ্ক রাহানে উপস্থিতও ছিলেন। কিন্তু ভারতীয় দল কার্যত লড়াইই করতে পারেনি।
কার্যত অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য ভারতের বড় ভরসা ছিলেন বিরাট কোহলি। নিজের অর্ধশতরানের দিকে তড়তড়িয়ে এঘনো কোহলি কিন্তু দারুণ ছন্দেও ছিলেন। তবে দিনের শুরুতেই সেই আশায় জল ঢেলে দেন স্কট বোল্যান্ড। বরাবরই চতুর্থ-পঞ্চম স্টাম্পের বলকে কোহলির দুর্বল পক্ষ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ইংল্যান্ডে বছর কয়েক আগে জেমস অ্যান্ডারসন এই লাইনে বল করেই বারংবার পরাস্ত করেছিলেন কোহলিকে। এদিনও সেই পঞ্চম স্টাম্পের বলে কভার ড্রাইভ মারতে গিয়েই ৪৯ রানে আউট হন বিরাট।
তবে কোহলির ক্যাচটা কিন্তু একেবারেই সহজ ছিল না। বল তাঁর ব্যাটের কাণায় লেগে দ্রুত গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছিল। তবে বাজপাখির মতো একেবারে ছো মেরে সেই বল তালুবন্দি করেন স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা স্টিভ স্মিথ (Steve Smith)। কোহলি আউট হওয়ার পরেই ভারতীয় ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ওই একই ওভারে আউট হন জাডেজা। শেষমেশ ২৩৪ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ২০৯ রানে পরাজিত হন কোহলিরা। অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন সকালে কোহলির দ্রুত আউটটাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। স্মিথ কিন্তু প্রথম ইনিংসে শকতরান হাঁকানোর পাশাপাশি এই দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে প্রমাণ করে দিলেন, তিনি কেন অজি দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
ঘটনাক্রমে, এটি স্মিথের কেরিয়ারের ১৫৭তম টেস্ট ক্যাচ ছিল। এই ক্যাচের সুবাদে তিনি অ্যালেন বর্ডারকে পিছনে ফেলে দিলেন। বর্ডার টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ ১৫৬টি ক্যাচ ধরেছেন। তাঁকে পেরিয়ে গেলেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক। অবশ্য ১৯৬ ক্যাচ নেওয়া পন্টিং এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন।
এই ম্যাচ জিতে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া নতুন ইতিহাসও রচনা করে ফেলল। বিশ্বের প্রথম দল হিসাবে টি-টোয়েন্টি ও ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, সবকয়টি ট্রফিই জিতে নিল অজিরা। দুই বছর আগে মন্থর ওভার রেটের জন্য অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট কাটা যাওয়ায় তাঁরা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়। সেই হতাশা দূর করতে সক্ষম হল প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন দল।
এবিপি আনন্দ এখন টেলিগ্রামেও, ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: