লিডস: হাতে টান লেগেছিল। শুশ্রুষাও নিলেন দু-দুবার। তখনও তিনি নার্ভাস নাইন্টিতে। আম্পায়াররাও যেন কিছুটা বিব্রত। কারণ, সময় নষ্ট হচ্ছে। এগিয়ে এসে কথা বললেন যশস্বী জয়সওয়ালের (Yashasvi Jaiswal) সঙ্গে।

যশস্বীও তৈরি ছিলেন। নাছোড় তাঁর মানসিকতা। যেন মনে মনে ঠিক করে নিলেন, নষ্ট হওয়া সময় বাউন্ডারিতে পুষিয়ে দেবেন। ইংরেজ পেসার ব্রাইডন কার্সকে এক ওভারে তিন বাউন্ডারি মেরে পৌঁছে গেলেন ৯৯ রানে। তারপর পয়েন্টে বল পাঠিয়ে দৌড়ে নিলেন এক রান। পূর্ণ করলেন সেঞ্চুরি।

হেডিংলে টেস্টের (India vs England) প্রথম দিনই সেঞ্চুরি করলেন যশস্বী। ঢুকে পড়লেন এক অভিজাত তালিকায়। যে তালিকায় নাম রয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, এম বিজয়, সন্দীপ পাটিলদের। তাঁদের মতোই যশস্বীও ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্টেই করলেন সেঞ্চুরি। ভারতীয় হিসাবে ইংল্যান্ডে প্রথম টেস্টেই সেঞ্চুরি রয়েছে মুরলী বিজয় (২০১৪ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে ১৪৬), বিজয় মঞ্জরেকর (১৯৫২ সালে হেডিংলেতে ১৩৩), সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (১৯৯৬ সালে লর্ডসে ১৩১), সন্দীপ পাটিলের (১৯৮২ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অপরাজিত ১২৯)। তাঁদের মধ্যে সৌরভের ছিল টেস্ট অভিষেক। সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন যশস্বী।

 

যশস্বীর দাপটে ভারতও ভাল জায়গায়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন চা পানের বিরতিতে ভারতের স্কোর ২১৫/২। দ্বিতীয় সেশনে কোনও উইকেট পড়েনি ভারতের। যোগ হল ১২৩ রান।

যশস্বীর মতোই দাপটের সঙ্গে ব্যাটিং করছেন অধিনায়ক শুভমন গিল। তিনি ৭৪ বলে ৫৮ রান করে ক্রিজে। অবিচ্ছেদ্য তৃতীয় উইকেটে ১২৩ রান যোগ করেছেন যশস্বী ও শুভমন। ম্যাচের আগেই শুভমন বলেছিলেন, ব্যাট করতে নামার সময় তিনি ভুলে যাবেন যে, দলের অধিনায়কও তিনিই। বরং নামবেন শুধু ব্যাটার হিসাবে। মাঠে দেখা গেল, সেই মানসিকতা নিয়েই নেমেছেন। সাবলীল ভঙ্গিতে ব্যাট করছেন শুভমন।

প্রথম সেশনে ভারতের শুরুটা ভাল হয়েছিল। কিন্তু পরপর ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে ভারত। পরপর ফিরে গিয়েছিলেন কে এল রাহুল ও সাই সুদর্শন। সেখান থেকে দ্বিতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়াল ভারত। প্রথম সেশন যদি দুই শিবিরের মধ্যে ম্যাচের রাশ হাতে রাখা নিয়ে দড়ি টানাটানি হয়, দ্বিতীয় সেশনে দাপট ভারতেরই।