চণ্ডীগড়: তাঁকে বেশ কিছুদিন মাঠে দেখা যায়নি। তাঁর দল হরিয়ানা বৃহস্পতিবার সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলল। কিন্তু তিনি খেলেননি।
এ নিয়ে এবার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটালেন যুজবেন্দ্র চাহাল নিজেই। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল (Yuzvendra Chahal) বর্তমানে মাঠের বাইরে রয়েছেন। এর কারণ তাঁর অসুস্থতা। চাহাল ডেঙ্গি এবং চিকুনগুনিয়ার মতো গুরুতর রোগে ভুগছেন, যার ফলে তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হতে পারে। চাহাল নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে, এই রোগগুলি তাঁর শরীরের উপর অনেক প্রভাব ফেলেছে।
জোড়া অসুস্থতা চাহালের
যুজবেন্দ্র চাহালকে শেষবার নভেম্বরে হরিয়ানার হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ ট্রফির গ্রুপ ম্যাচে খেলতে দেখা গিয়েছিল। এরপর থেকেই তিনি দলের বাইরে রয়েছেন। এখন স্পষ্ট যে, ডেঙ্গি এবং চিকুনগুনিয়ার কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছিল এবং তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই কারণেই তিনি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনাল ম্যাচেও তাঁর দলের অংশ হতে পারেননি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই তথ্য দিয়েছেন
ফাইনাল ম্যাচের আগে যুজবেন্দ্র চাহাল ইনস্টাগ্রাম স্টোরির মাধ্যমে তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে আপডেট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন যে তিনি হরিয়ানা দলের সঙ্গে মাঠে নামতে চেয়েছিলেন, কিন্তু অসুস্থতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। চাহাল তাঁর দলকে ফাইনালের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসার আশা প্রকাশ করেছেন।
তবে, তিনি কবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ক্রিকেটের মাঠে ফিরবেন তা স্পষ্ট করেননি। মনে করা হচ্ছে, এবার তাঁর নজর থাকবে বিজয় হাজারে ট্রফির দিকে, যা ২৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। তবে তাঁর প্রত্যাবর্তন সম্পূর্ণভাবে ফিটনেসের উপর নির্ভর করবে।
দীর্ঘদিন ধরে টিম ইন্ডিয়া থেকেও বাইরে
যুজবেন্দ্র চাহাল গত কিছু সময় ধরে ভারতীয় সিনিয়র দল থেকেও বাইরে রয়েছেন। অগাস্ট ২০২৩-এর পর থেকে তিনি ভারতের হয়ে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি। টি-২০ বিশ্বকাপের পর তিনি দলে সুযোগ পাননি, যদিও ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্স ধারাবাহিকভাবে ভাল ছিল।
ইংল্যান্ডে তাঁর দাপট দেখা গিয়েছিল
অসুস্থ হওয়ার আগে চাহাল ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলেন। তিনি নর্থাম্পটনশায়ারের হয়ে ওয়ান ডে কাপ এবং কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তিনি কৃপণ বোলিং করেছিলেন, অন্যদিকে লাল বলের ক্রিকেটে তিন ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করেছিলেন।