রাঁচি: মুস্তাক আলি ট্রফিতে (Syed Mushtaq Ali Trophy) দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত ঈশান কিষাণ। ঝাড়খণ্ডকেও প্রথমবার এই টুর্নামেন্টে জয় ছিনিয়ে আনতে সাহায্য করেছেন। মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে হরিয়ানার বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ঝাড়খণ্ড। ম্য়াচেই ৪৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বাঁহাতি উইকেট কিপার ব্যাটার। এই নিয়ে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে মোট ষষ্ঠতম সেঞ্চুরি হাঁকালেন ঈশান। এমনকী চলতি মুস্তাকে এটি ঈশানের পাঁচ নম্বর শতরান ছিল। মুস্তাক আলি ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি শতরানের মালিক অভিষেক শর্মা। তিনি পাঁচটি শতরান হাঁকিয়েছিলেন। তাঁর রেকর্ডের সঙ্গে সমান পাঁচটি শতরানের মালিক হলেন ঈশান কিষাণ। এদিন ফাইনালে ৪৯ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন ঈশান কিষাণ।
চলতি মুস্তাক আলি ট্রফিতে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক ঈশান কিষাণ। এবার ১০ ইনিংসে ৫১৭ রান ঝুলিতে পুরেছেন। স্ট্রাইক রেটও ঈর্ষণীয়। ১৯৭.৩২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন মুস্তাকে ঈশান। এদিন প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ঝাড়খণ্ড ৩ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ২৬২ রান তুলেছিল। ঈশান ছাড়া ঝাড়খণ্ডের কুমার কুশাগ্র ৩৮ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলেন। ঈশান নিজের ইনিংসে ১০টি ছক্কা ও ছয়টি বাউন্ডারি হাঁকান।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন যশস্বী জয়সওয়াল
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন যশস্বী জয়সওয়াল। রিপোর্ট অনুযায়ী যশস্বী পেটে প্রবল গ্যাসের ব্যথা শুরু হয়। সেই থেকেই তাঁকে আদিত্য় বির্লা হসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রিপোর্টে দাবি করা হয় যশস্বী গোটা ম্যাচ জুড়েই পেট ব্যথার সমস্যায় ভুগছিলেন। পেট কামড়াচ্ছিল তাঁর। তবে ম্যাচের পর ব্যথা আরও বাড়ে। যদিও টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বাঁহাতি ওপেনারকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন জয়সওয়াল। সেখানেই আপাতত বিশ্রামে থাকবেন তিনি।
সূত্রের খবর, পুরোপুরি সুস্থ হতে এখনও এক সপ্তাহ সময় লাগবে জয়সওয়ালের। আসন্ন বিজয় হাজারে ট্রফিতে মুম্বইয়ের শুরুর দিকের ম্য়াচগুলোতে খেলতে দেখা যাবে না জয়সওয়ালকে। মুম্বই আগামী ২৪ ডিসেম্বর সিকিমের বিরুদ্ধে তাঁদের বিজয় হাজারে ট্রফির অভিযান শুরু করবে। ম্যাচে রোহিত শর্মাকে অনেক দিন পর বিজয় হাজারে ট্রফি খেলতে দেখা যাবে।
আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্য়াচের ওয়ান ডে সিরিজ। সেই সিরিজের আগে জয়সওয়ালের সুস্থ হয়ে ওঠা খুব দরকার। তার জন্যই বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল টিম বাঁহাতি ওপেনারের শারীরিক রিপোর্টের দিকে নজর রাখছে ক্রমাগত।