কলকাতা: দুজনই তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আইপিএল হোক বা বাংলা দল, দীর্ঘদিন একসঙ্গে মাঠে, ড্রেসিংরুমে কাটিয়েছেন অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত। রাজ্যে নির্বাচনের আবহে সেই দুই বন্ধুই নাম লিখিয়েছেন দুটি রাজনৈতিক দলে। মনোজ তিওয়ারি গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। শিবপুর কেন্দ্র থেকে রাজ্যের শাসক দলের হয়ে লড়বেন তিনি। আর অশোক ডিন্ডা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। ময়নায় গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীও হয়েছেন।


যদিও ঋদ্ধিমান সাহার সক্রিয় রাজনীতিতে সায় নেই। অভিন্নহৃদয় বন্ধু মনোজ ও ডিন্ডা যখন প্রচারে ঝড় তুলেছেন, জাতীয় টেস্ট দলের উইকেটকিপার তখন কালীঘাট মাঠে আইপিএলের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে আইপিএল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে মাঠে নামার আগে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন ঋদ্ধি। বিধানসভা ভোটে দুই দলের দুই প্রার্থী মনোজ ও ডিন্ডার সঙ্গে কথা হয়েছে? প্র্যাক্টিসের ফাঁকে বৃহস্পতিবার দুপুরে এবিপি লাইভকে ঋদ্ধি বললেন, ‘এর মধ্যে কারও সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। ডিন্ডা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে কথা হয়েছিল। তখন ও গোয়ার হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি খেলছিল। এছাড়া আর কথা হয়নি।’


ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানাতে ধোনিদের জার্সিতে জংলা ছাপ


রাজনীতির ময়দানে ঋদ্ধিমান সাহাকে দেখা যাবে? বঙ্গ উইকেটকিপারের সাফ জবাব, ‘না, দেখা যাবে না। যে বিষয়ে আমার কোনও জ্ঞান নেই, তাতে ঢুকলে ভালোর চেয়ে হয়তো খারাপ বেশি হবে। তার চেয়ে না যাওয়াটা বেটার।’


রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব ছিল? ‘ছিল,’ স্বীকারোক্তি ঋদ্ধির। দুই দলেরই প্রস্তাব ছিল? নাকি তিন শিবিরের? হাসলেন ঋদ্ধি। বললেন, ‘সেটা ভাঙছি না। তবে প্রস্তাব পেয়েছিলাম। আমি যোগ দিইনি।’ যোগ করলেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করতে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া প্রয়োজনীয় বলে মনে করি না আমি। কেউ রাজনীতি করুক বা না করুক, মানুষের জন্য কাজ করা তাতে আটকাতে পারে না। রাজনীতির বাইরে থেকেও মানুষের জন্য কাজ করা যায়। আমার মনে হয় তার জন্য গায়ে রাজনৈতিক রং না লাগালেও চলে। তবে এটা ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপার। আমি সাধ্যমতো মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। সেটা কে কীরকম ভাবে নেবে, সেটা মানুষ বিশেষে নির্ভর করে।’


রাজনীতির বাইশ গজে আগ্রহ নেই। ঋদ্ধিমান সাহা ক্রিকেটের গ্রহেই খুশি।