রিয়াদ: সদ্যই সরকারিভাবে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে (AL Nassr) যোগ দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। তাঁকে রাজকীয় ভঙ্গিমায় স্বাগত জানায় আল নাসর ক্লাব কর্তৃপক্ষ, সমর্থকরা। অধীর আগ্রহে সকলেই নতুন ক্লাবের হয়ে রোনাল্ডোর মাঠে নামার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে আল নাসরের হয়ে রোনাল্ডোর অভিষেক ম্যাচ দেখার জন্য অনুরাগীদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।


দুই ম্যাচের নির্বাসন


রোনাল্ডোকে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) দুই ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করেছিল। নভেম্বরে এভারটনের বিরুদ্ধে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের পরাজয়ের পর সাজঘরে ফেরার পথে এক সমর্থকদের হাতে থাকা ফোন ঝাপটা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এই ঘটনার প্রবল সমালোচনাও হয়। ইংল্যান্ডের ফুটবল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এফএ রোনাল্ডোকে দুই ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করে। ক্লাব ও লিগ বদলালেও উঠছে না নির্বাসন। আল নাসরের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক জানান, লিগ ও দল বদলালেও রোনাল্ডোর নির্বাসন অব্যাহত থাকবে।


তিনি বলেন, 'এই নির্বাসন সরকারিভাবে ওঁর নাম নথিভুক্ত হয়ে যাওয়ার পরেই লাগু হবে।' প্রসঙ্গত, রোনাল্ডোর সঙ্গে খবর অনুযায়ী ২০০ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি স্বাক্ষর করে ফেললেও, আল নাসরে লিগে খেলার জন্য রোনাল্ডোর নাম নথিভুক্ত করতে পারেনি। আল নাসরের হয়ে ইতিমধ্যেই লিগ সর্বাধিক আট জন বিদেশি খেলোয়াড় খেলছেন। তাই তাঁদের মধ্যে কারুর নাম না বাদ না দিলে, রোনাল্ডোকে আল নাসর নথিভুক্ত করতে পারবে না। তবে শোনা যাচ্ছে আজই রোনাল্ডোর নাম নথিভুক্ত করা হতে পারে। যদিও কার জায়গায় রোনাল্ডোর নাম নথিভুক্ত করা হবে, সেই বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। 


ছয়ই লক্ষ্য


কাল শনিবার, ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে আইএসএলে নিজেদের ১২ নম্বর ম্যাচ খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal FC)। এই ম্যাচে মাঠে নামার আগেই এ মরসুমে দলের লক্ষ্যটা স্পষ্ট করে দিলেন তারকা ফরোয়ার্ড ক্লেটন সিলভা (Cleiton Silva)। ব্রাজিলিয়ান তারকা আশাবাদী যে ইস্টবেঙ্গল প্রথম ছয়ের মধ্যে থেকেই মরসুম শেষ করতে পারে। তবে তার জন্য আগামী কয়েকটি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন ক্লেটন।


সাত গোল করে যুগ্মভাবে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্লেটন বলেন, 'লিগ তালিকায় প্রথম ছয়ের মধ্যে শেষ করাটাই আমাদের লক্ষ্য। অনেকেই মনে করেন না যে আমদের পক্ষে এমনটা করা সম্ভব নয়। তবে আমরা যদি পরবর্তী দুই, তিন ম্যাচে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারি, তাহলে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছনোটা কিন্তু অসম্ভব নয়।' ক্লেটনের সাত গোল সত্ত্বেও লাল হলুদ, ১১টির মধ্যে মাত্র চারটি ম্যাচ জিতেছে এবং বাকি সাতটি ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। ছয়ে থাকা ওড়িশা এফসির থেকে আপাতত সাত পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে ওড়িশার থেকে একটি ম্যাচও কম খেলেছে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের ছেলেরা।


ক্লেটনের দাবি মরসুমের ১১টি ম্যাচ হয়ে গেলেও এখনও ইস্টবেঙ্গল নিজেদের সেরা একাদশ খুঁজে পায়নি। 'এই দলে প্রচুর নতুন খেলোয়াড় রয়েছে যাদের বেশিরভাগই তরুণ। ওদের অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে। দলের ভারসাম্য বজায় রাখাটা খুবই কঠিন। ১১ জন খেলোয়াড়কে হুট করে মাঠে নামিয়ে দিয়ে সাফল্য পাওয়াটা খুবই কষ্টকর। আমরা এখনও সেরা একাদশ খুঁজছি এবং তারা যাদে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে তার জন্য খাটছিও বটে।' বলেন ক্লেটন।


আরও পড়ুন: ভারতের পরাজয় সত্ত্বেও বিধ্বংসী অর্ধশতরানে নতুন ইতিহাস গড়লেন অক্ষর