দুবাই : হিসেব যতটা সোজা বাস্তবের মাটিতে কাজটা করে দেখানো ততটাই কঠিন। প্লে-অফের সমীকরণে টিকে থাকতে জিততে হবে বাকি দুই ম্যাচই। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বাঁচা-মরার জোড়া যুদ্ধের প্রথমটি বৃহস্পতিবার। প্রতিপক্ষ চেন্নাই সুপার কিংস।


সিএসকে অস্বাভাবিক খারাপ মরশুমের সুবাদে প্রথম দল হিসেবে ইতিমধ্যে ছিটকে গিয়েছে শেষচারের অঙ্ক থেকে। তাই ধোনিবাহিনীর কাছে কেকেআর ম্যাচটা সম্মানরক্ষার চ্যালেঞ্জ। অপরদিকে ইয়ন মর্গ্যানের নেতৃত্বাধীন দলের কাছে টিকে থাকার কঠিন লড়াই। এমনিতেই ছন্দ খুইয়ে বেশ হাঁসফাঁস অবস্থা তাদের। এমন অবস্থায় বঙ্গে বাজতে থাকা বিজয়ার বিষাদের সুরকে আনন্দের সুরে বদলে দেওয়ার লড়াই।

প্রথম পর্বের ম্যাচে সিএসকে-কে হারাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন রাহুল ত্রিপাঠি। আপাতত একেবারেই ছন্দে নেই তিনি। তবে শুধু ত্রিপাঠিই নন বলিউডের রাহুলের দলের প্রায় সব ব্যাটসম্যানই ভুগছেন ধারাবাহিকতার অভাবে। এমন অবস্থায় শেষ ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে হেরে নিজেদের কাজটাই কঠিন করেছে তারা। তাই সিএসকে বাধা টপকাতে কেকেআর টিম ম্য়ানেজমেন্টের তোড়জোড় আন্দ্রে রাসেলকে দলে ফেরানোয়। সেক্ষেত্রে হয়তো নিলামে সবথেকে বেশি দর পাওয়া প্যাট কামিন্সকে বাইরে বসাতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।

পরিস্থিতি কঠিন হলেও কেকেআর অবশ্য যে এখনই হাল ছাড়ছে না সেটা পঞ্জাব ম্য়াচের পর বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। কেকেআর কোচের সাফ কথা ছিল, নিজেদের ভাগ্য রয়েছে নিজেদেরই হাতে। বেগুনি জার্সিতে পারফরম্যান্সে নিজের ভাগ্য বদলে জাতীয় দলের দরজা খুলে ফেলা বরুণ চক্রবর্তীর ওপর বাঁচা-মরার যুদ্ধবৈতরণী পার করার বিষয়েও বাড়তি ভরসা রাখছে কেকেআর ব্রিগেড।

যদিও কাজটা কিন্তু কঠিন। শুধু পরিসংখ্যানের বিচারে এগিয়ে থাকাই নয় সিএসকে নামছে শূন্য হাতে। কোচ স্টিভেন ফ্লেমিং তো বলেই রেখেছেন, হারানোর তো কিছুই নেই। তাই আমাদের কাজটা খোলামনে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা। আগের ম্যাচে বিরাটদের দুরমুশ করে হারিয়ে যে ইঙ্গিত দিয়েছিল তারা। কিউয়ি প্রাক্তনী ঠিকই বলেছেন, চাপের পাল্লা কিন্তু অনেকটাই ভারী কেকেআরের দিকেই। কারণ, কেকেআর এদিন হেরে গেলেই হয়তো বঙ্গে বিষাদের সুর আরও একটু জোরাল হবে।