নয়াদিল্লি:ভারতের টেস্ট স্কোয়াড থেকে করুণ নায়ার ও মুরলী বিজয়কে বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এরইমধ্যে ভারতীয় দলের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক বোর্ডের নির্বাচক কমিটিকে একহাত নিয়েছেন। এই প্রাক্তন প্রধান নির্বাচক বলেছেন, দলের কোচ ও অধিনায়ক বিরাট কোহলির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা বর্তমান নির্বাচক কমিটির নেই।
উল্লেখ্য, নায়ার ও বিজয় উভয়েই দাবি করেছেন, বাদ দেওয়ার আগে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি নির্বাচকরা। যদিও ওই অভিযোগ খারিজ করে নির্বাচক কমিটির প্রধান এমএসকে প্রসাদ বলেন, ওই দুই ক্রিকেটারকে সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আগেই জানানো হয়েছিল।
এই বিতর্ক নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কিরমানি বলেছেন, ‘যদি আমাকে প্রশ্ন করেন কোচ হওয়ার সুবাদে রবি শাস্ত্রীই প্রধান নির্বাচক। তিনি অধিনায়ক ও সিনিয়র সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে ( যা চাইছেন) তা নির্বাচক কমিটির সামনে পেশ করেন’।
৬৮ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘সত্যি বলতে কী, বর্তমান নির্বাচক কমিটি এই ব্যক্তিদের (শাস্ত্রী ও কোহলি) তুলনায় নিতান্তই অনভিজ্ঞ। টিম ম্যানেজমেন্ট কী চাইছে তা শোনাই ভালো মনে করে। কারণ, শাস্ত্রী ও কোহলির সঙ্গে বিতর্ক করতে পারে না। কারণ, তাঁরা অনেক বেশি অভিজ্ঞ’।
বর্তমান নির্বাচক কমিটির পাঁচ সদস্যদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কম। মুখ্য নির্বাচর প্রসাদ ছয়টি টেস্ট ও ১৭ একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। বাকি চারজনের মধ্যে সরনদীপ সিংহ (২ টেস্ট, ৫ একদিনের ম্যাচ), দেবাং গাঁধী (৪ টেস্ট ও ৩ একদিনের ম্যাচ), যতীন পরাঞ্জপে (৪ একদিনের ম্যাচ) এবং গগন খোডা (২ একদিনের ম্যাচ)-র অভিজ্ঞতাও অল্প।
কিরমানি বলেছেন, ‘বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভাগ্যও একটা ভূমিকা নেয়। একটা উদাহরণ দিচ্ছি। আমার কেরিয়ারের সেরা সময়ে আমি বসেছিলাম’।