কলকাতা: তাঁর সোনা যে শুধু দেশকে গর্বের মুহূর্ত উপহার দিয়েছে তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মতে, দেশের অগণিত তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে অচিন্ত্য শিউলির (Achintya Sheuli) সোনা।


হাওড়ার ভারোত্তোলককে অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইট করেছেন মমতা। লিখেছেন, 'বাংলার অচিন্ত্য শিউলি কমনওয়েলথ গেমস থেকে দেশকে তৃতীয় সোনার পদক দিয়েছে। ওকে অনেক অভিনন্দন। দেশের অগণিত তরুণের কাছে তুমি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা রইল'।


রবিবার রাতে বাংলার ভারোত্তোলক ৭৩ কেজি বিভাগে সোনা জেতার পর উচ্ছ্বসিত নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করেছেন, 'কমনওয়েলথ গেমস খেলতে রওনা হওয়ার আগে অচিন্ত্য শিউলির সঙ্গে কথা হয়েছিল। ওঁর মা ও দাদার কাছে কীরকম সমর্থন পেয়েছেন, জানিয়েছিলেন। এবার আশা করি পদক জেতার পর একটা সিনেমা দেখার সুযোগ পাবেন'।


 










'স্ন্যাচ'-এ এক নয়, দুই দুইবার কমনওয়েলথ গেমসের রেকর্ড ভাঙলেন ২০ বছরের ভারোত্তোলক অচিন্ত্য। প্রথম প্রয়াশে তিনি 'স্ন্যাচ'-এ ১৪৩ কেজি ভারোত্তোলন করেন। এরপর ১৪৩ কেজি তুলে সেই রেকর্ডও ভেঙে দেন। এরপর তিনি 'ক্লিন এন্ড জার্ক'-এ ১৬৬ কেজি তোলার পর সফলভাবে ১৭০ কেজি ওজন তুলে মোট ভারোত্তোলনের ক্ষেত্রেও গেমসের রেকর্ড ভেঙে দেন। সব মিলিয়ে মোট ৩১৩ কেজি ভারোত্তোলন করে গেমসের রেকর্ড ভেঙে ভারতকে তৃতীয় স্বর্ণপদক এবং সব মিলিয়ে ষষ্ঠ পদক এনে দিলেন অচিন্ত্য।


মালয়েশিয়ার হিদায়ত মহম্মদ গোটা ইভেন্ট জুড়েই অচিন্ত্যকে কড়া টক্কর দেন। তিনি মোট ৩০৩ কেজি (১৩৮ কেজি + ১৬৫ কেজি) ভারোত্তোলন করে রুপো জেতেন। অচিন্ত্যকে শেষ পর্যন্ত হিদায়তের দৌলতেই পদকের রঙ জানার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সোনা জয়ের উদ্দেশে তিনি 'ক্লিন এন্ড জার্ক'-এ ১৭৬ ওজন তোলার চেষ্টা করেন। তবে নিজের দুই প্রয়াশেই ব্যর্থ হন হিদায়ত। ফলে সোনা আসে ভারতের ঘরে। কানাডার শাদ ডারসিগনি ২৯৮ কেজি (১৩৫ কেজি + ১৬৩ কেজি) তুলে তৃতীয় স্থানে শেষ করায় ব্রোঞ্জ জেতেন।


আরও পড়ুন: বাবার শেষকৃত্য করেছিলেন ধার করে, ধান বয়ে মিলত ঘুগনি-ডিম, ইতিহাস হাওড়ার অচিন্ত্যর