ইনিংস শেষে সাংবাদিকদের এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বললেন, দেখুন, আমার মনে হয়, যে খেলছে, তার ওপর এটা নির্ভর করে। আমাদের এখানে বাউন্ডারি এত দীর্ঘ যে, কখনও কখনও কাজটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ক্লান্তি, অবসাদ চেপে বসলে চেষ্টা করেও জোরে মারা খুব শক্ত। ফক্স স্পোর্টসকে তিনি বলেছেন, শেষ দিকে আমি দুই রান নিয়ে রান তোলার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করি, কারণ সীমানার ওপারে বল পাঠাতে পারব কিনা, বুঝতেই পারছিলাম না।
তবে তিনি না পারলেও রোহিত শর্মা একদিন না একদিন লারাকে ছাপিয়ে যেতে পারেন বলে বিশ্বাস ওয়ার্নারের। তিনি বলেছেন, একদিন কোনও একজনের নাম করতে পারব বলে মনে হয়। নিশ্চিত ভাবেই মনে হয়, সে রোহিত শর্মা হতে পারে।
রোহিত ইতিমধ্যে একদিনের সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজেকে ম্যাচ জেতানো ব্যাটসম্যান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এখন টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনার হিসাবে নতুন ভূমিকায় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফর্ম্যাটে বর্তমান ফর্ম ধরে রাখার সম্ভাবনা প্রবল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে ম্যান অব দি ম্যাচ হন রোহিত। ঘটনাচক্রে ওপেনার হিসাবে এটাই তাঁর প্রথম সিরিজ।
ওয়ার্নার সাংবাদিকদের আরও বলেন, আইপিএলে দিল্লির হয়ে খেলার সময় বীরেন্দ্র সহবাগ একদিন আমার পাশে বলে বলে, আমি টি-২০র চেয়ে ভাল টেস্টের প্লেয়ার। আমি ওকে বলি, তুমি বাড়িয়ে বলছ। আমি বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলিনি। ও সবসময় বলত, ওরা স্লিপ, গালি রাখবে, কভার খোলা রেখে দেবে, মিড উইকেটে লোক রাখবে। মিড অফ, মিড অনেও রাখবে। মাথার ওপর দিয়ে চালিয়ে খেলে উইকেটে পড়ে থাকতে পার সারাদিন। কথাটা মাথায় গেঁথে রয়েছে।