মুম্বই: গত ম্যাচে ব্যাটে বলে অনবদ্য পারফর্ম করেছিলেন হেইলি ম্যাথিউজ (Hayley Matthews)। তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভর করেই গত ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে (Delhi Capitals) নয়টি উইকেটে হারাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)। বৃহস্পতিবার দিল্লির বিরুদ্ধে ফের একবার নিজের অলরাউন্ডার দক্ষতার পরিচয় দিলেন হেইলি। বল হাতে তিন উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও ৩২ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। তবে বল হাতে বাংলার সাইকা ইশাক ও ইসি ওয়ংও তিনটি করে উইকেট নেন। দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের দৌলতেই কিন্তু মুম্বইয়ের জন্য খুবই সহজ হয়ে যায়।


হেইলি-ইয়াস্তিকার পার্টনারশিপ


মাত্র ১০৬ রান তাড়া করতে নেমে মুম্বইকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। ইয়াস্তিকা ভাটিয়া ও হেইলি ম্যাথিউজের অর্ধশতরানের ওপেনিং পার্টনারশিপ মুম্বইয়ের জয়ের পথটা মসৃণ করে দেয়। মুম্বইয়ের ওপেনাররা শুরু থেকেই আগ্রাসী ছন্দে ব্যাট করতে শুরু করেন। শিখা পাণ্ডের বলে পরপর তিনটি চার মারেন হেইলি। মাত্র সপ্তম ওভারেই মুম্বই অর্ধশতরানের গণ্ডি পার করে ফেলে। তারা নরিস নবম ওভারে ইয়াস্তিকাকে ৪১ রানে ফিরিয়ে মুম্বইকে প্রথম ধাক্কাটি দেন। তিন ওভার পরে ম্যাথিউজও ফেরেন। তবে ন্যাট স্কিভার-ব্রান্ট (২৩) ও অধিনায়ক হরমনপ্রীত (১১) শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে মুম্বইয়ের জয় সুনিশ্চিত করেন। পল্টনার টানা তিন ম্যাচ জিতে লিগ তালিকার শীর্ষে নিজেদের দখল বজায় রাখল।


প্রথম ইনিংস 


ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আজ এখনও পর্যন্ত ডব্লিউএলে অপরাজিত থাকা দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। দিল্লি ও মুম্বই, উভয় ফ্রাঞ্চাইজিই নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ জিতেছিল। লিগ তালিকায় শীর্ষে থাকা দুই দলের লড়াই দেখতে তাই সকলেই মুখিয়ে ছিলেন। তবে প্রথম ইনিংসে দিল্লির ব্যাটিং বড় রান তুলতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং ছাড়া কেবলমাত্র জেমাইমা রডরিগেজই কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। জেমাইমা ২৫ রানের ইনিংস খেলেন। তবে এই দুই ছাড়া আর কোনও দিল্লি ক্যাপিটালস ব্যাটারই এই ম্য়াচে তেমন রান পাননি।


টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী সাইকাই মুম্বইয়ের হয়ে প্রথম সাফল্যটা এনে দেন। তিনি মাত্র দুই রানে শেফালিকে সাজঘরে ফেরান। অ্যালিস ক্যাপসি (৬), মারিজানে কাপ (২), জেস জোনাসেনরা (২) কেউই বড় রান করতে পারেননি, বা বলা ভাল মুম্বইয়ের বোলাররা তেমন সুযোগই দেননি। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক, ল্যানিং এবং জেমাইমা চতুর্থ উইকেটে ৫০ রান যোগ করেন বটে, তবে সেই পার্টনারশিপ সাইকাই ভাঙেন। এমনকী দুইজনেরই উইকেট নেন সাইকা। এই পার্টনারশিপ বাদে ম্যাচে আর তেমন কোনও পার্টনারশিপই গড়ে তুলতে পারেনি দিল্লি। মাত্র ২৪ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ইনিংসের ১২ বল বাকি থাকতেই ১০৫ রানেই শেষ হয়ে যায় দিল্লির ইনিংস। 


আরও পড়ুন: 'কয়েকজন কেবলমাত্র স্বার্থের জন্যই আপনাকে ভালবাসে', সোশ্যাল মিডিয়ায় রহস্যজনক পোস্ট পৃথ্বীর