নয়াদিল্লি: মদের লাইসেন্স সংক্রান্ত মামলায় তাঁর জামিনের আর্জি নিয়ে আগামীকালই শুনানি ছিল সিবিআই কোর্টে। ঠিক তার আগের দিন ইডি-র হাতে গ্রেফতার হলেন আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ সিসোদিয়া। টানা দুদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীকে ইডি-র এই গ্রেফতারির সিদ্ধান্তে হইচই পড়ে গিয়েছে রাজধানীর অন্দরমহলে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে দাঁড়াল সিসোদিয়ার পক্ষেও। আগামীকাল সিবিআই কোর্টে জামিনের আর্জি জানানোর কথা ছিল তাঁর। কিন্তু এদিনের গ্রেফতারির পর আগামীকালই তাঁকে কোর্টে পেশ করবে ইডি। সেক্ষেত্রে সিবিআই যে মামলা করেছে, সেই মামলায় জামিনের শুনানির কী হবে? এই নিয়েই তৈরি হয়েছে নতুন জট। 

কী ঘটছে?
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিবিআই গ্রেফতার করেছিল মণীশ সিসোদিয়াকে। সেই মামলায় সিবিআইয়ের হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়া ইস্তক দিল্লির তিহার জেলে রয়েছেন সিসোদিয়া। এবার ইডির হাতে গ্রেফতারি আপ নেতার। বিষয়টি নিয়ে কড়া ট্যুইট করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লেখেন, 'প্রথমে মণীশকে সিবিআই গ্রেফতার করল। কিন্তু ওরা অভিযান চালিয়ে কোনও প্রমাণ পায়নি। আগামীকাল জামিনের আবেদনের শুনানি। হয়তো মণীশ সিসোদিয়াকে কাল ছেড়ে দেওয়া হত।





তাই ইডি তাঁকে আজই গ্রেফতার করল। ওদের শুধু একটাই উদ্দেশ্য--নিত্যনতুন ভুয়ো মামলা দিয়ে যে কোনও মূল্যে মণীশকে আটকে রাখা। মানুষ দেখছেন, মানুষই এর জবাব দেবেন।'


কী নিয়ে মামলা?
রাজধানীতে মদ নিয়ে নতুন নিয়ম তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ কয়েকজন ডিলারকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এই আপ নেতার বিরুদ্ধে। দলের তরফে যদিও যে কোনও ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে বিজেপির দাবি, যদি সত্যি নতুন নিয়মে কোনও ভুলত্রুটি না থাকত তা হলে আপ কি এই নিয়ম প্রত্যাহার করত? প্রসঙ্গত, এই মামলাতেই আরও রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাঁর নাম কে কবিতা। ভারত রাষ্ট্র সমিতি প্রধান তথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কবিতা কেন্দ্রের অন্যতম বিরোধী নেতা। আগামী ১১ মার্চ ইডি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। যদিও এর মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব রকম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেসিআর কন্যা।    


আরও পড়ুন:নিউমোনিয়া মানেই কি অ্যাডিনো সংক্রমণ? বুঝবেন কীভাবে? কখন লক্ষণ ভয়ানক?