মুম্বই: প্রথম ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে দুরন্ত অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) অধিনায়ক মেগ ল্য়ানিং (Meg Lanning)। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্য়াচেও ব্যাট হাতে তাঁর দৌরাত্ম্য অব্যাহত। ইউপি ওয়ারিয়ার্সের (UP Warriorz) বিরুদ্ধে ৭০ রানের ইনিংস খেললেন অজি তারকা। নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটের বিনিময়ে ২১১ রান তুলল দিল্লি। ল্যানিং বাদে জেমাইমা রডরিগেজ ৩৪ ও জেস জোনাসেন ৪২ রান করেছেন।


ম্যাচ সেরাকে বাদ


গত ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর গুজরাতকে তিন উইকেটে হারায় ইউপি। গ্রেস হ্যারিস ৫৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তবে এই ম্যাচে সেই গ্রেসকেই বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইউপি ম্যানেজমেন্ট। তাঁর পরিবর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ফাস্ট বোলার শবনিম ইসমাইলকে একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়। দিল্লি নিজেদের একাদশ অপরিবর্তিত রেখেই এদিন মাঠে নামে।  


এদিন টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামতে হয় ল্যানিংদের। শেফালি ও ল্যানিং গত ম্যাচে ওপেনিংয়ে ১৬২ রান যোগ করেছিলেন। এদিনও দুইজনে শুরুটা বেশ ভালই করেছিলেন। পাওয়ার প্লেতেই দিল্লিকে ৬০ রানের গণ্ডি পার করান দুই দিল্লি ওপেনার। তবে শেফালি ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। তাঁকে সাজঘরে ফেরান থালিয়া ম্যাকগ্রা। মারিজানে কাপও ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে অপরপ্রান্তে ল্যানিং নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। ৩২ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি।






জেমাইমা-জোনাসেনের পার্টনারশিপ


শেষমেশ রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় ৭০ রানে ল্যানিংকে (৪২ বলে) সাজঘরে ফেরান। অ্যালিস ক্যাপসি শুরুটা দারুণ আগ্রাসীভাবে করলেও, ১০ বলে ২১ রান করে তাঁকেও সাজঘরে ফিরতে। পরপর দুই উইকেট নিয়ে ইউপি ম্যাচে ফেরে। তবে দিল্লিকে কম রানে আটকে রাখার অ্যালিসা হিলিদের পরিকল্পনায় জল ঢেলে জেন জেস জোনাসেন। ২০ বলে দুরন্ত ছন্দে ৪২ রান করেন তিনি। জেমাইমা রডরিগেজও তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন। তাঁর ৩৪ রানের ইনিংস আসে ২২ বলে। পঞ্চম উইকেটে জোনাসেন ও জেমাইমার ৬৭ রানের পার্টনারশিপ দিল্লিকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করতে সাহায্য করে। ইউপির হয়ে শবনিমের বোলিং পরিসংখ্যানই সর্বসেরা। তিনি নিজের নির্ধারিত ৪ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।


আরও পড়ুন: পিচ বিতর্কে অবশেষে মুখ খুললেন ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়