সেঞ্চুরিয়ন: শেষবেলায় কিছুটা রাশ নিজেদের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করল ভারত (Indian Cricket Team)। কিন্তু তবুও প্রথম ইনিংসে ভারতের থেকে ১১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। হাতে এখনও রয়েছে তাদের পাঁচ উইকেট। এই পরিস্থিতিতে তৃতীয় দিনে যত তাড়াতাড়ি দক্ষিণ আফ্রিকাকে (South Africa) অল আউট করতে পারবেন বুমরা, সিরাজরা ততই ভাল ভারতের জন্য। তবে এই সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিতে পারেন ডিল এলগার নামক এক ব্যক্তি। যিনি দিনের শেষে ১৪০ রান করে ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে আছেন মার্কো ইয়েনসেন।
ভারতের ২৪৫ রানের জবাবে এইডেন মারক্রামের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন এলগার। কিন্তু দ্রুত মারক্রামের উইকেট হারায় প্রোটিয়া বাহিনী। এরপর টোনি ডি জর্জির সঙ্গে ৯৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন এলগার। জর্জি ক্রিজে সেট হয়েও শেষ পর্যন্ত ২৮ রানের ইনিংস খেলে বুমরার বলে জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। রান পাননি কিগান পিটারসেন। ২ রান করে প্লে ডাউন হয়ে যান তিনি। এরপর অভিষেককারী ডেভিড বেডিংহামের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ১৯৪-তে পৌঁছে দেন। নিজের শেষ টেস্টে সিরিজে ১৪ তম টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেললেন এলগার। সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে ১৯টি বাউন্ডারি মারেন তিনি। চা পানের বিরতির আগেই এদিন সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেছিলেন এলগার। এই ম্যাচেই প্রোটিয়া জার্সিতে টেস্টে অভিষেককারী বেডিংহামের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৩১ রান যোগ করেন বোর্ডে। ভেরেইনা ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ২ উইকেট নেন বুমরা। মহম্মদ সিরাজও ২টো উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
এদিকে, এদিন সকালে ২০৮/৮ থেকে খেলা শুরু করে ভারত। ৭০ রান করে ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন কে এল রাহুল। লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়েই দুরন্ত লড়াই চালান রাহুল। আট উইকেটের বিনিময়ে ২০৮ রানে প্রথম দিন শেষ করে ভারতীয় দল। দ্বিতীয় দিনে মেঘলা আবহাওয়া সিরাজ বেশ খানিকচা সময় রাহুলকে সঙ্গ দেন। তবে পরিস্থিতি বুঝে পাল্টা আক্রমণ চালান রাহুলও। দুরন্ত ছক্কা মেরে নিজের কেরিয়ারের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। এর আগের সফরে সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে শতরান হাঁকিয়েছিলেন কে এল রাহুল। এবারও প্রথম টেস্টে রাহুলের ব্য়াট থেকে এল শতরান।