সেঞ্চুরি: সকালটা ছিল কে এল রাহুলের। নিজের টেস্ট কেরিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দিনের প্রথম ঘণ্টা বাদ দিলে বাকি সময়টা সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের চা পানের বিরতি পর্যন্ত ম্য়াচের রাশ নিজেদের দখলে নিয়ে রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা। তার মূল্যে দলের সিনিয়র ব্যাটার ডিন এলগার। নিজের শেষ টেস্ট সিরিজে দুরন্ত শতরান হাঁকিয়ে এখনও ক্রিজে রয়েছেন তিনি। ভারত ২৪৫ রানে প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়ে যাওয়ার পর ব্যাট করতে নেমে চা পানের বিরতি পর্যন্ত ১৯৪/৩ বোর্ডে তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শতরান করে অপরাজিত রয়েছেন এলগার। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে আছেন অভিষেক কারী বেডিংহাম। 


ভারতের ২৪৫ রানের জবাবে এইডেন মারক্রামের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন এলগার। কিন্তু দ্রুত মারক্রামের উইকেট হারায় প্রোটিয়া বাহিনী। এরপর টোনি ডি জর্জির সঙ্গে ৯৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন এলগার। জর্জি ক্রিজে সেট হয়েও শেষ পর্যন্ত ২৮ রানের ইনিংস খেলে বুমরার বলে জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। রান পাননি কিগান পিটারসেন। ২ রান করে প্লে ডাউন হয়ে যান তিনি। এরপর অভিষেককারী ডেভিড বেডিংহামের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ১৯৪-তে পৌঁছে দেন। নিজের শেষ টেস্টে সিরিজে ১৪ তম টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেললেন এলগার। সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে ১৯টি বাউন্ডারি মারেন তিনি। 


উল্লেখ্য, কাগিসো রাবাডার আগুনে বোলিংয়ে একসময় ভারতীয় দল ২৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল। যশস্বী জয়সওয়াল (১৭), রোহিত শর্মা (৫), শুভমন গিলদের (২) নিয়ে তৈরি ভারতীয় টপ অর্ডার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আইয়ারের ৬৮ রানের পার্টনারশিপ ভারতীয় দলের ইনিংসকে কিছুটা স্থিরতা প্রদান করলেও, দুই তারকাকেই যথাক্রমে ৩৮ ও ৩১ রানে ফেরান রাবাডা। 


তবে এখান থেকেই পাল্টা লড়াই শুরু করেন রাহুল। তাঁকে প্রথমে সঙ্গ দেন শার্দুল ঠাকুর, তারপর মহম্মদ সিরাজ। লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়েই দুরন্ত লড়াই চালান রাহুল। আট উইকেটের বিনিময়ে ২০৮ রানে প্রথম দিন শেষ করে ভারতীয় দল। দ্বিতীয় দিনে মেঘলা আবহাওয়া সিরাজ বেশ খানিকচা সময় রাহুলকে সঙ্গ দেন। তবে পরিস্থিতি বুঝে পাল্টা আক্রমণ চালান রাহুলও। দুরন্ত ছক্কা মেরে নিজের কেরিয়ারের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। মাত্র দ্বিতীয় ভারতীয় টেস্ট কিপার হিসাবে 'SENA' দেশে শতরান হাঁকালেন রাহুল।