বার্মিহাম:  গতকাল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির একটা সিদ্ধান্ত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে ওঠা তামিম ইকবাল ও মুশফিকর রহিমের ১২১ রানের পার্টনারশিপ ভাঙে কেদারের বলেই। ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন কেদার। রান খরচ করেছেন মাত্র ২২। দুই সেট ব্যাটসম্যান তামিম ও মুশফিকর শিকার হন কেদারের।

চলতি টুর্নামেন্টে এর আগে কেদারের হাতে বল তুলে দেওয়া হয়নি। কিন্তু সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁকে দিয়ে বোলিং করালেন কোহলি। ম্যাচের পর কোহলি জানিয়েছেন, তিনি এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি- দুজনে মিলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

কোহলি বলেছেন, ওই সময়টা তিনি বাংলাদেশের রানে রাশ টানতে চেয়েছিলেন। কেদারের উইকেট তো বাড়তি পাওনা। অধিনায়ক বলেছেন, সত্যি কথা বলতে কী, কেদারের উইকেট প্রাপ্তি বোনাসের মতো।  প্রথম তিন ওভারে হার্দিক (পান্ডিয়া) বেশ কিছু রান দিয়ে ফেলেছিল। তাই আমরা ওর পরিবর্তে কেদারকে বল করতে ডাকি। ওই সময় ক্রিজে একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান (তামিম) ছিলেন। বাঁহাতিকে বল করলে ওভারে অন্তত দুটো-তিনটে ডট বল করার দক্ষতা রয়েছে কেদারের। কিন্তু যা হল, তাতে ম্যাচের ভোলটাই পাল্টে গেল।

কোহলি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কৃতিত্ব তিনি একা নিতে চান না। তিনি এ ব্যাপারে এমএস (ধোনি)-র সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। দুজনেই মনে করেছিলেন, এই মুহূর্তে কেদার বেশ কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে। কোহলি বলেছেন, কেদার দারুন বোলিং করেছে। পুরো কৃতিত্বটাই ওর।

অধিনায়কের কথায়, কেদার নেটে খুব একটা বোলিং করে না। কিন্তু ও স্মার্ট ক্রিকেটার। ব্যাটসম্যানরা কোথায় ঝামেলায় পড়তে পারে, তা ও ভালো মতোই জানে। বল করার সময় ব্যাটসম্যানের মতো চিন্তা করতে পারলে তা যে কোনও বোলারের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা।