দীপার বক্তব্য, খেলাধুলোয় দেশের এই সবথেকে সম্মানজনক পুরস্কারের তালিকা থেকে তাঁর নাম ভুলবশত বাদ পড়েছে কারণ একজন খেলোয়াড় হিসেবে তিনি এই পুরস্কারের জন্য সর্বতভাবে যোগ্য। গত বছর রিও ডি জেনেইরোয় প্যারালিম্পিকে রুপো জিতেছেন। তাঁর প্রশ্ন, খেলরত্নের জন্য কি তাঁকে ২০২০ সালের প্যারালিম্পিকে আরও একটা পদক জিতে দেখাতে হবে, যখন তাঁর বয়স হবে ৫০!
এ জন্য তিনি লবি করছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে তাও উড়িয়ে দিয়েছেন দীপা।
দীপার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে হরিয়ানা প্রশাসনও। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার তাঁর হয়ে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকে আবেদন করেছেন, খেলরত্নের জন্য নির্বাচিত নামের তালিকা পুনর্বিবেচনা করতে।
দীপা বলেছেন, যে বছর অলিম্পিক হয়, সে বছর একাধিক ব্যক্তিকে খেলরত্ন দেওয়া হয়। গত বছর এই পুরস্কার দেওয়া হয় ২৯ অগাস্ট, তার ঠিক ১৫ দিন পর অলিম্পিকে পদক জেতেন তিনি। অতএব এ বছর তাঁর খেলরত্ন পাওয়ার কথা কিন্তু ভুলবশত তাঁর নাম নজর এড়িয়ে গিয়েছে।
এ বছর খেলরত্নের জন্য বিবেচিত হয়েছে রিও প্যারালিম্পিকে জ্যাভলিনে সোনাজয়ী দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া ও প্রাক্তন হকি অধিনায়ক সর্দার সিংহের নাম। ক্রীড়া মন্ত্রক এখনও এই দুজনের নামে সিলমোহর দেয়নি ঠিকই কিন্তু তালিকা পুনর্বিবেচনা করার সম্ভাবনা যে কার্যত নেই তা জানিয়ে দিয়েছে তারা। কারণ রিও প্যারালিম্পিকের একাধিক পদকজয়ীকে একই বছরে খেলরত্ন দেওয়া সম্ভব নয়।