নবি মুম্বই: দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য। বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন। হরমনপ্রীত, স্মৃতি মন্ধানাদের মত তাঁকে নিয়ে ততটা আলোচনা কখনওই হয় না। কিন্তু মাঠে নেমে বারবার তিনি বুঝিয়েছেন যে কেন তিনি দেশের মহিলা ক্রিকেটে এই মুহূর্তে সেরা অলরাউন্ডার। তবে ব্যাটিং, বোলিং নয়। অনুশীলন থেকে ম্যাচ, তিনি মাঝে মাঝে চমকে দেন নিজের দলের কোচিং থেকে শুরু করে সাপোর্ট স্টাফদেরও। তাই তাঁর নাম বেন স্টোকস রাখা হয়েছে দলে। অর্থাৎ ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের বেন স্টোকস হিসেবেই পরিচিত দীপ্তি শর্মা।


ইংল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্য়াচে একাই ৯ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে অর্ধশতরানের ইনিংসও খেলেছেন। ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন দীপ্তি। ম্য়াচের পর কোচ অমল মজুমদার বলেন, ''অনুশীলনে প্রত্যেকেই ভীষণ সিরিয়াস থাকে। কিন্তু একজনের ফিল্ডিং নিয়ে আমরা ভীষণ সতর্ক থাকি, বিশেষ করে যখন বল থ্রো করে সে। এতটাই জোড়ে ও নিঁখুত ওর ফিল্ডিং তার কোনও তুলনা হয় না। ও হল দীপ্তি। ওর অসাধাণ ফিটনেস। দলে ওকে বেন স্টোকস বলেই ডাকা হয়।"


 






এদিকে, ম্যাচে দুরন্ত বোলিংয়ের জন্য কিন্তু পিচকে কিছুটা কৃতিত্ব দেন দীপ্তি। তিনি বলেন, 'আমরা এই টেস্ট ম্যাচের জন্য ভীষণভাবে অপেক্ষা করে ছিলাম। এই অনুভূতিটা দারুণ এবং আমরা কিন্তু আমাদের পরিরকল্পনা মতোই বোলিং করেছি। আমরা ম্যাচের প্রথম দিনে খুবই ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিংটা করেছিলাম। পার্টনারশিপ গড়ার লক্ষ্যে ছিলাম। ব্যস এটুকুই। আমি বোলিং করার জন্য মুখিয়ে ছিলাম এবং নিজের উপর আস্থাও ছিল। হ্যারি দি (হরমনপ্রীত) আমাকে নিজের জায়গায় বল রাখার কথা বলছিল, পিচ থেকে তো মদত ছিলই। ও আমাদের পরের টেস্টেও এমনভাবেই বল করে যাওয়ার কথা বলে।'


ম্যাচের দ্বিতীয় দিনশেষে ৪৭৮ রানে এগিয়ে ছিল ভারত। ম্যাচের তৃতীয় দিন আর ব্যাটিং করতে নামেনি ভারত। ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় ভারত। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে ন্যাট স্কিভার-ব্রান্টই একমাত্র ব্যাটার হিসাবে অর্ধশতরানের গণ্ডি পার করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ব্যর্থতা অব্যাহত। সেই আবারও ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে ধস নামান দীপ্তি শর্মা। দ্বিতীয় ইনিংসে তো ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক রান ২১। অধিনায়ক হায়দার নাইটই দলের হয়ে ২১ রানের ইনিংস খেলেন। একাধিক ইংল্যান্ড ব্যাটার শুরুটা ভাল করেও, তাঁর লাভ তুলতে ব্যর্থ হন।