পার্কেন: ইউরো কাপে ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন মাঠেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লেন ডেনমার্কের এক ফুটবলার। ফলে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে এই ম্যাচ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এরিকসেনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। ডেনমার্কের ফুটবল সংস্থার পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে।


আজ খেলা চলাকালীন হঠাৎই মাঠে লুটিয়ে পড়েন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। তাঁকে কেউ ধাক্কা মারেননি। নিজে থেকেই পড়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে অবস্থার গুরুত্ব বুঝে খেলা থামিয়ে দেন রেফারি অ্যান্টনি টেলর। সবাই ছুটে যান এরিকসেনের দিকে। মাঠেই শুরু হয় প্রাথমিক চিকিৎসা। এরপর এরিকসেনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 


এরিকসেন অসুস্থ হয়ে পড়ার ঠিক আগে বল কর্নার ফ্ল্যাগের কাছে মাঠের বাইরে চলে যায়। থ্রো-ইন থেকে বল রিসিভি করতে ছুটে যান এরিকসেন। সেই সময়ই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বল তাঁর হাঁটুতে লাগে। এরিকসেনের কাছেই ছিলেন ফিনল্যান্ডের দুই ফুটবলার। তাঁরা চিকিৎসকদের দ্রুত মাঠে আসার ইশারা করেন। রেফারিও চিকিৎসকদের ডাকেন। ডেনমার্ক দলের সঙ্গে থাকা চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা মাঠে ছুটে যান। তাঁদের মধ্যে একজন এরিকসেনের বুকে চাপ দিতে থাকেন। সবাই এই ফুটবলারকে ঘিরে থাকেন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে মাঠেই চিকিৎসা চলে। এরপর ধীরে ধীরে অন্য ফুটবলাররা মাঠ ছাড়েন। এরিকসেনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অসমর্থিত সূত্রের খবর, তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।


উয়েফার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ডেনমার্কের ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় দু’দলের ফুটবলার ও রেফারিদের সঙ্গে আপৎকালীন বৈঠক হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট ফুটবলারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’


ডেনমার্কের ফুটবল সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে এরিকসেন সচেতনই আছেন। ফলে উদ্বেগ কিছুটা কম। 


এদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইংল্যান্ডের সাংবাদিক বৈঠক বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট ও অধিনায়ক হ্যারি কেনের প্রাক্তন সতীর্থ এরিকসেন। তাঁর জন্য সবাই উদ্বিগ্ন। এখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই সাউথগেট, কেনরা। সেই কারণেই তাঁরা সাংবাদিক বৈঠক বাতিল করে দিয়েছেন। এরিকসেনের প্রাক্তন ক্লাব টটেনহ্যামের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, সবাই এই ফুটবলারের জন্য প্রার্থনা করছেন।