স্বপ্ন নৃত্যশিল্পী হওয়া, মুম্বইয়ের মঞ্চে অনুরাগ, শিল্পাদের মন জয় করছে বাংলার মেয়ে প্রতীতী
কলকাতা: বাড়ি হাওড়া। বয়স মাত্র ১০। একরত্তি এই বাঙালি কন্যার বর্তমান ঠিকানা অবশ্য মুম্বই। বাড়িতে ছোট ভাইয়ের জন্য মন কেমন করে রোজ। সকালবেলা রিহার্সাল, দুপুরে খেয়ে একটু বিশ্রাম। তার মধ্যেই যে গানে নাচ করতে হবে সেইটা বার বার শোনা অভ্যাস তার। আলো ঝলমলে মঞ্চ মাতিয়ে তুলতেই অভ্যস্ত এই খুদে। শিল্পা শেট্টি, অনুরাগ বসু আর গীতা কপূররা নাচের প্রশংসা করে কী কী বলেন, তা মুখস্থ হলে ফেলতে পারে সুপার ডান্সারের বাঙালি প্রতিযোগী প্রতীতী দাস।
'সুপার ড্যান্সার চ্যাপ্টার ৪' অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে প্রতীতী। ছোটবেলা থেকেই ভরতনাট্যম শিখেছে সে। কিন্তু পরিচিত গন্ডির বাইরে বেরিয়ে এখন সবরকম নৃত্যশৈলীতেই বিচারকদের মুগ্ধ করছে সে। কেবল শিল্পা শেট্টি, অনুরাগ বসু আর গীতা কপূর নন, অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে এসে তাঁর নাচের প্রশংসা করেছেন গোবিন্দাও। মঞ্চে উঠতে একটুও ভয় লাগে না প্রতীতীর। তার কথায়, 'আমার শিল্পা ম্যামকে খুব ভালো লাগে। নাচ ভালো হলে উনি সিটি দেন। আর গীতা ম্যাম খুব আদর করেন। অনুরাগ স্য়ারও খুব ভালো।'
৫ বছর বয়স থেকে নাচ শিখছে প্রতীতী। এবিপি লাইভের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলতে গিয়ে প্রতীতী বলছে, 'আমার বাড়িতে সবাই চায় আমি নাচ নিয়েই এগিয়ে যাই। আমি অবশ্য বড় হয়ে অভিনেত্রী হতে চাই। সেই সঙ্গে কোরিওগ্রাফিও করতে চাই। এখানে আমার সঙ্গে মা আছে। বাড়িতে বাবা আর ভাই আছে। ওদের সঙ্গে অনেকদিন দেখা হয় না। কেবল ভিডিও কলে কথা হয়।'
এশিয়ান ইন্টারন্যাশানাল স্কুলের ছাত্রী প্রতীতী। করোনা আবহে বন্ধ স্কুল, ক্লাস চলছে অনলাইনেই। বন্ধুদের সঙ্গে অনেকদিন দেখা হয়নি প্রতীতীর। মুম্বইতে নতুন বন্ধু হলেও তারা কেউ বাঙালি নয়। বাড়িতে ৪ বছরের ছোট্ট ভাইয়ের জন্য মন খারাপ হয় প্রতীতীর। 'বাড়িতে ভিডিও করলে ভাই এখন আর কথাই বলে না আমার সঙ্গে। বোধহয় খুব অভিমান হয়েছে ওর। অনেকদিন আমায় দেখেনি তো।' প্রতীতীর গলায় একটু আক্ষেপ। শো শেষ হলে বাড়িতে গিয়ে কী করবে? 'এখানে যত চকোলেট পেয়েছি, জমিয়ে রেখেছি। বাড়ি গিয়ে সেই সব ভাইকে দিয়ে দেব। তাহলে আর আমার ওপর রাগ করে থাকতেই পারবে না ও।'