পাল্লেকেলে: তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে যাঁরা সংশয় প্রকাশ করছিলেন, একটি ইনিংসের মাধ্যমেই তাঁদের চুপ করিয়ে দিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। দলের প্রয়োজনের সময় চওড়া হয়ে উঠল প্রাক্তন অধিনায়কের ব্যাট। যোগ্য সঙ্গত দিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। তাঁদের অপরাজিত জুটি ভারতকে প্রায় হারা ম্যাচ জিতিয়ে দিল। ধোনি-ভুবনেশ্বরের জুটিতে যোগ হল ১০০ রান। ধোনি ৪৫ রানে এবং ভুবনেশ্বর ৫৩ রানে অপরাজিত থাকলেন। ৭ উইকেটে ২৩১ রান করে ম্যাচ জিতে নিল ভারত।


আজ টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। শুরুটা খারাপ করেননি শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার নিরোশন ডিকওয়েলা (৩১) ও দানুষ্কা গুণতিলক (১৯)। তবে মিডল অর্ডারে ধস নামায় চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। দ্রুত ফিরে যান কুশল মেন্ডিস (১৯), অধিনায়ক উপুল থরঙ্গা (৯), প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ (২০)। মিলিন্দা সিরিবর্ধনা (৫৮) ও চামারা কাপুগেদেরা (৪০) কিছুটা লড়াই করেন। তাঁদের সৌজন্যেই শ্রীলঙ্কা ভদ্রস্থ রান তুলতে সক্ষম হয়। শেষপর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৩৬ রান করে শ্রীলঙ্কা। জসপ্রীত বুমরাহ ৪৩ রানে চারটি এবং যুজবেন্দ্র চাহাল ৪৩ রানে দুটি উইকেট নেন। হার্দিক পাণ্ড্য ও অক্ষর পটেল একটি করে উইকেট নেন।

বৃষ্টির জেরে ভারতের ব্যাটিংয়ের সময় ওভার সংখ্যা কমানো হয়। জয়ের জন্য ৪৭ ওভারে ভারতকে করতে হত ২৩১ রান। ওপেন করতে নেমে শুরুটা ভাল করেন শিখর ধবন (৪৯) ও রোহিত শর্মা (৫৪)। কিন্তু তাঁরা ফিরে যেতেই ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামে। একে একে ফিরে যান কেদার যাদব (১), বিরাট (৪), লোকেশ রাহুল (৪), হার্দিক পাণ্ড্য (০) ও অক্ষর পটেল (৬)। ১০৯ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পরে ১৩১ রানের মধ্যে সাত উইকেট পড়ে যায়। বিয়ের পরের দিনই দেশের হয়ে খেলতে নেমে কামাল করেন শ্রীলঙ্কার স্পিনার আকিলা ধনঞ্জয়। তিনি ৬ উইকেট নেন। ভারত সেই সময় প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে লড়াই শুরু করেন ধোনি ও ভুবনেশ্বর। তাঁদের দাপটেই জয় আসে। ধোনি অবশ্য ভাগ্যের সাহায্য পান। ২৯ রানের মাথায় বেঁচে যান তিনি। বিশ্ব ফার্নান্ডোর বল ধোনির প্যাডে লেগে উইকেটে লাগে। তবে বেল পড়েনি। ফলে আউট হননি তিনি।

প্রথম ম্যাচে শিখর ধবন ও বিরাটের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে ৯ উইকেটে জিতেছিল ভারত। আজও জিতে সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল ভারত। আজই ৩০০ তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামেন বিরাট। পরিসংখ্যানের খোঁজ অবশ্য ছিল না তাঁর। টস করতে নেমে ধারাভাষ্যকারের কাছ থেকে জানতে পারেন এটি তাঁর ৩০০-তম ম্যাচ। এই ম্যাচেই কুমার সঙ্গাকারার সর্বোচ্চ স্টাম্পিংয়ের রেকর্ড ছুঁলেন ধোনি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে গড়লেন একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে সর্বোচ্চ স্টাম্পিংয়ের রেকর্ড। চাহালের বলে গুণতিলককে স্টাম্পিং করার সঙ্গে সঙ্গে সর্বোচ্চ ৯৯ টি স্টাম্পিংয়ের মালিক হলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। এরপর ব্যাট হাতেও কামাল করলেন তিনি।