রোহিত বলেছেন, ফিনিসিং দক্ষতা ছাড়াও ধোনির উপস্থিতিই দলে একটা অন্য একটা মাত্রা যোগ করে দেয়। দলের মধ্যে স্থৈর্য এনে দেয়, বিশেষ করে তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে। আর ধোনির এই ভূমিকাটাই বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
উল্লেখ্য,আগামী ৩০ মে ইংল্যান্ডে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচের আগে রোহিত বলেছেন, ‘বিগত বছরগুলিতে ড্রেসিংরুমে ও মাঠে ওর (ধোনি)-র উপস্থিতি দেখে আসছি। ও আশেপাশে থাকলে সবার মধ্যে একটা স্থৈর্যের অনুভূতি থাকে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তা অধিনায়ককেও সাহায্য করে। কারণ, ও স্ট্যাম্পের পিছনে থাকে’।
ধোনিকে নিয়ে বলতে গিয়ে রোহিতের গলায় মুগ্ধতাই ঝড়ে পড়েছে। তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় দলকে অনেক বছর ও নেতৃত্ব দিয়েছে এবং যথেষ্ট সফলও হয়েছে। তাই ওর দলে থাকাটা সব সময়ই ভালো ব্যাপার। দলের কাছে ও আলোকবর্তিকার মতো’।
ধোনির ফিনিসিং দক্ষতায় টান পড়েছে বলে বিভিন্ন মহলে জল্পনা চলছে। কিন্তু রোহিত মনে করেন, ব্যাট হাতে এখনও দলের পক্ষে কার্যকরী ধোনি।
রোহিত বলেছেন, ‘ব্যাটিং অর্ডারে নিচের দিকে নামা, দলকে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়া, ওর ফিনিসিং টাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর এই কাজটা আমাদের জন্য অনেক ম্যাচে করে আসছে ধোনি।ওর স্থৈর্য ও পরামর্শ, ম্যাচ নিয়ে কী ভাবছে, আমাদের এখন কী করা উচিত..এসব খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওর উপস্থিতিটাই আমাদের কাছে একটা বড় ব্যাপার’।
রোহিত বলেছেন, স্ট্যাম্পের পিছনে ধোনির উপস্থিতিতে যজুবেন্দ্র চাহল ও কুলদীপ যাদবের মতো বোলারা উপকৃত হয়। তিনি বলেছেন, ‘কুলদীপ ও চাহল এখন খুবই ভালো খেলছে। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে, ব্যাটসম্যান কী করতে চাইছে, তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়াটা বড়সড় ফারাক গড়ে দেয় বলে আমি মনে করি। ওরা ২০১৭ থেকে ভারতের হয়ে খেলছে। তারপর থেকে ভারতের বাইরে খুবই ভালো পারফর্ম করছে। এর একটা কারণ এমএস। মাঠে ওদের বলের লাইন ও ফিল্ড প্লেসমেন্ট নিয়ে পরামর্শ দেয় ও। অধিনায়ত্ব ছাড়ার পর দুরন্ত ভূমিকা পালন করছে এমএস’।