আবুধাবি: এএফসি এশিয়ান কাপে আজ বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। তাইল্যান্ডকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দুর্দান্ত অভিযান শুরু করেছে ভারত। এবার তাদের সামনে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলেও নিজেদের শক্তি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ভারতীয় শিবির। আগের ম্যাচে জে-লিগের তিন ফুটবলারকে নিয়ে গঠিত তাইল্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়ার পর আজ খেতাবের অন্যতম দাবিদারকে হারাতে পারলে তা হবে ভারতীয় দলের বড়সড় কৃতিত্ব।
ফিফা র্যারঙ্কিংয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ৭৯তম স্থানে। ভারত ৯৭ নম্বরে।২০১৫-তে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি তালিকায় পৌঁছে গিয়েছিল ২৪ নম্বরে।
তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে যেভাবে দল ঝড় তুলেছিল, তা অবশ্যই সন্তুষ্ট করবে ভারতের কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনকে। প্রথমার্ধে খেলার ফলাফল ১-১ থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে ভারত শুধু তাই আক্রমণ মোকাবিলাই নয়, বিপক্ষ শিবিরে আক্রমণের ঝড়ও তুলেছিল। এরফলে ভারত মূল্যবান তিন পয়েন্ট পেয়েছিল। সেইসঙ্গে পৌঁছে গিয়েছে গ্রুপ তালিকার শীর্ষে।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে কোচ কনস্টানটাইন বলেছেন, আমাদের দল তারুণ্যে ভরপুর, ওরা উত্তেজিত। আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ম্যাচ অবশ্যই আলাদা। ওরা খুবই ভালো দল। কিন্তু আমাদের কাছে ওরা অন্য একটা প্রতিপক্ষ।
আজকের ম্যাচেও ভারতের অন্যতম ভরসা সুনীল ছেত্রী। তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকবেন ভারতীয় দলের এই স্ট্রাইকার।
এদিনের ম্যাচ জিতলে বা ড্র করলে গত ৫০ বছরে এই প্রথম টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় পর্বে পৌঁছনোর পথ প্রশ্বস্ত হবে ভারতের সামনে।
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে বাহরিনের কাছে ১-১ গোলে ড্র করে চাপে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। ভারতের বিরুদ্ধে ভালো খেলতে তারা মরিয়া থাকবে।
তবে ভারত যে কড়া টক্কর দিতে তৈরি, তা ম্যাচের আগে বুঝিয়ে দিয়েছেন ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল। তিনি বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে আমাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। মাঠেই আমাদের সেই পরিকল্পনা দেখা যাবে। ওরা খুবই ভালো দল। ওদের সমীহ করছি। কিন্তু আমরা লড়াই করতে তৈরি।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকেই তাঁরা গ্রুপের সবচেয়ে শক্ত প্রতিপক্ষ মানছেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে প্রীতম বলেছেন, তাইল্যান্ড ম্যাচের আগে কেউ কি বলেছিল যে, এটা খুব সহজ ম্যাচ হবে? প্রতিটা ম্যাচই শক্ত। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও কঠিন প্রতিপক্ষ হবে বলেই মনে করছি। ওরা আয়োজক। আমাদেরকে প্রত্যেকটা ম্যাচেই লড়াই করতে হবে এবং আমাদের লক্ষ্য তিন পয়েন্ট।
তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রতিপক্ষের আক্রমণ মোকাবিলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ভারতের ডিফেন্স। প্রীতম বলেছেন, চার ব্যাকের মধ্যে খুব ভালো একটা কেমিস্ট্রি রয়েছে। তিনি বলেছেন, আমরা সব সময়ই একে অপরের সঙ্গে কথা বলি। নিজেদের পজিশন কোনটা ঠিক হবে, কাকে মার্ক করতে হবে, তা একে অপরকে বলি। বেশ কিছুদিন একসঙ্গে খেলছি আমরা। এতে ভালো বোঝাপড়া গড়ে উঠেছে।