সেদিন ধোনি ১৭-তম ওভারে চক্রবর্তীর বলে ১২ বলে মাত্র ১১ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ২১ বলে ৩৯ রান দরকার ছিল সিএসকে-র। কেদার ব্যাটে-বলে ঠিকমতো সংযোগই করতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত তিনি ১২ বলে মাত্র সাত রানে আটকে থাকেন। শেষ ওভারে ২৬ রান তুলতে হোত। রবীন্দ্র জাডেজা চালিয়ে খেললেও শেষরক্ষা হয়নি। আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হন। কেকেআর জিতে যায় ১০ রানে। এরপরই সিএসকে ভক্তদের নিশানা হন ধোনি, কেদার। ধোনিকে তুমুল ট্রোলিং করা হয় ফেসবুক, ট্যুইটারে। ধোনির মেয়েকে শারীরিক নিগ্রহ, এমনকী ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়।
ক্রিকেট ঘিরে ভারতের মতো দেশে উন্মাদনা এতটাই চরমে পৌঁছে যায় কখনও কখনও যে প্রিয় তারকারা ভক্তদের আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেই নায়ক থেকে ভিলেনে পর্যবসিত হন। বাদ যান না তাঁদের পরিবারের লোকজনও। এমনটাই ঘটেছে ধোনির ক্ষেত্রে।
সম্প্রতি আইপিএলে আরসিবি তথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির ব্য়াটে রান না আসায় সেজন্য অন্যায় ভাবে আঙুল তোলা হয় তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মার দিকে। সোস্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ, বিদ্রূপ করা হয় তাঁকে। এমনকী সুনীল গাওস্করের মতো ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের বিরাট, অনুষ্কা সম্পর্কে করা মন্তব্যেও বিতর্কের ঝড় ওঠে।
তবে এধরনের লোকজনের মানসিক সুস্থতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইরফান পাঠান। তিনি ট্য়ুইট করেছেন, হতেই পারে ক্রিকেটারদের সেরাটা সবদিন মাঠে দেখা যায় না, কিন্তু তা বলে কারও একটা বাচ্চাকে শাসানোর, হুমকি দেওয়ার অধিকার নেই। সব প্লেয়ারই তাঁদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু সব দিন সমান ভাল খেলা যায় না। কিন্তু সেজন্য একটা শিশুকে হুমকি দিতে পারে না কেউ!