নয়াদিল্লি : সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এখন বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক হিসেবে গন্য হন। টেস্ট ক্রিকেট থেকে আগেই অবসর নিয়েছেন তিনি। কিন্তু লাল বলের ক্রিকেটে ধোনির যোগ্য উত্তরসূরীর খোঁজ এখনও করে চলেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ঋদ্ধিমান সাহা চোটের জন্য দলের বাইরে। এরমধ্যে নমন ওঝা, পার্থিব পটেল, দীনেশ কার্তিকদের নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়েছে। এখন ঋষভ পন্ত ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তবে স্ট্যাম্পের পিছনে দক্ষতা নয়, ব্যাটিং পারফরম্যান্সই তাঁকে দলে জায়গা করে দিয়েছে বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞই। ঋষভের কিপিংয়ে আরও উন্নতির প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক সৈয়দ কিরমানি। তিনি মনে করেন, ঋষভকে এখনও অনেক পথ হাঁটতে হবে এবং কিপিংয়ের একেবারে মৌলিক বিষয়গুলি শিখতে হবে।
কিরমানি বলেছেন, ‘ঋষভ উইকেটকিপিংয়ে এখনও শিশু। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ও নবাগত। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক যে, কোনও কোচ এখন টেকনিক নিয়ে কথা বলেন না। পারফরম্যান্সই গুরুত্ব পায়, ধোনি তা প্রমাণ করেছেন। উঠতি ক্রিকেটাররা ব্যাটিংয়ের সঙ্গে কিপিং-এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ধোনিকে অনুসরন করছে’।
কিরমানি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ব্যাটিংটা সামলে দিতে পারেন ঋষভ। কিন্তু কিপিং দক্ষতার উন্নতির জন্য তাঁকে প্রচুর খাটতে হবে।
কিরমানির কথায়, ‘উইকেটকিপিংয়ের ক্ষেত্রে বল ধরা এবং অনুমান ক্ষমতা জন্য কিছু নির্দিষ্ট টেকনিক অনুসরণ করতে হবে। সেই ক্ষীপ্রতা অর্জন করতে হবে। সেইসঙ্গে নজরও উন্নত করতে হবে। দুর্ভাগ্যবশত এখন চশমা পরার একটা চল হয়েছে। যদি স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি থাকে তাহলে অযথা চশমা কেন পরতে হবে। এর কারণে বল থেকে চোখ সরে যেতে পারে এবং অনুমান ক্ষমতাও বিগড়ে যেতে পারে। এতে ক্যাচ বা স্ট্যাম্পিং মিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে’।
কিরমানির কথায়, ধোনির প্রতিভা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। এটা একেবারেই বিরল। কিন্তু তাঁর স্টাইল উঠতি ক্রিকেটারদের অনুকরণ করা উচিত নয়।
উদাহরণ হিসেবে কিরমানি বলেছেন, ‘ফিল্ডার যখন বল থ্রো করে তা ধরার জন্য উইকেটরক্ষকদের স্ট্যাম্পের পিছনে থাকতে হবে। ধোনি যে রকম করে তা কিন্তু অনুসরন করা উচিত নয় (ধোনি কখনও কখনও স্ট্যাম্পের আগে দাঁড়িয়েই থ্রো করা বল ধরেন)। ঋষভ ধোনিকে অনুসরণ করেন। এটা সঠিক টেকনিক নয়।এক্ষেত্রে উইকেটরক্ষকদের স্ট্যাম্পের পিছনে থাকতে হবে। বল কোথায় পড়ছে তা দেখতে নজর থাকবে বেলের সঙ্গে সাজুয্য রেখে, যাতে বলের গতিপথ সহজে অনুমান করা যায়’।