কলকাতা: ডার্বির রং সবুজ-মেরুন। রবিবার ফিরতি ডার্বিতে ২-০ গোলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে হারাল মোহনবাগান। এদিন ম্যাচের ২টি গোলই করেন বাগানের ক্যামেরনের ফুটবলার দিপান্দা ডিকা।
বিদায়বেলায় সনি নর্দেকে একটা দুর্দান্ত জয় উপহার দিতে চেয়েছিল মোহনবাগান। সেটাই করে দেখালেন ডিকা। হিসেব-নিকেষ, পরিসংখ্যান উড়িয়ে যুবভারতীতে সবুজ মেরুন ঝড়। ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ গোলে দুরমুশ করে পাল তুলল সবুজ মেরুন নৌকো। চমকপ্রদ জোড়া গোল দিপান্দা ডিকার। বিদায়বেলায় সনিকে বাস্তবিকই একটা দুর্দান্ত জয় উপহার দিল বাগান ব্রিগেড।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই ডিকা-বিস্ফোরণ। নিখিল কদমের ক্রস থেকে অনবদ্য হেডারে ডিকার দিকে বল বাড়ান দলের নয়া বিদেশি আক্রম। গোলার শটে লক্ষ্যভেদ ক্যামেরুনের স্ট্রাইকারের।
৩৫ মিনিটে ফের ডিকার ভেল্কি। কর্নার থেকে বাঁ পায়ের ভলিতে দৃষ্টিনন্দন গোল। প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় আরও বাড়ে বাগানের দাপট। ডিকা এদিন দু’টি গোলই উৎসর্গ করলেন সনি নর্দেকে।
প্রথম ম্যাচেই পায়ের জাদুতে নজর কাড়লেন আক্রম মোঘ্রাবি। দল জেতায় খুশি বাগানের এই নয়া বিদেশিও। বললেন, আমার ভাল খেলার থেকে দল জিতেছে এটাই দরকার। ওয়াটসন, ফৈয়াজ, কদমদের মাঝমাঠ আক্রমণ শানিয়েছে বারবার।
অন্যদিকে, বাগান ডিফেন্ডারদের কড়া মার্কিংয়ে আটকে যান কাটসুমি, ডুডু, প্লাজারাও। অসুস্থতা সত্ত্বেও গোলপোস্টের সামনে দুরন্ত শিল্টন। অন্যদিকে ম্যাচের প্রথমেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে আল আমনা মাঠ ছাড়ায় বেশ বেকায়দায় পড়ে ইস্টবেঙ্গল। চোটের কারণে বেশ কিছুদিন মাঠে নামতে পারবেন না তিনি।
তার উপর বাতিল হয় প্লাজার একটি গোলও। কাটসুমির কর্নার থেকে হেডারে গোল করেছিলেন। কিন্তু, সেই কর্নারটি গোললাইনের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ায় গোল বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত ২-০ তে জয়।
ডিকার প্রথম গোলই টার্নিং পয়েন্ট। গোটা দলটা জিততে চেয়েছিল, দাবি বাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীর। বললেন, সনির চলে যাওয়ার পরও একটা টিম তৈরি হচ্ছিল। জিততে চেয়েছিল। তারা কাজে দিয়েছে। ডিকার প্রথম গোলই টার্নিং পয়েন্ট।
হারের দায় নিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিল। বললেন, সব দায় আমার, দল রাখলে থাকব, না রাখলে চলে যাব। যদিও এরসঙ্গেই ইঙ্গিত দেন, দল নির্বাচনে চাপ ছিল বাইরে থেকে।
ডিসেম্বরে আইলিগের মরসুমের প্রথম ডার্বি জয়ের পর অনেক ঝড়-ঝাপটা গিয়েছে দলটার উপর দিয়ে। তবু, হারায়নি মনোবল। ফিরতি ডার্বি জিতে ফের তা জানান দিল বাগান ব্রিগেড।