সেঞ্চুরিয়ন: সেঞ্চুরিয়নে প্রথম দিন থেকেই বল টার্ন করছে। যে পিচ জোরে বোলারদের স্বর্গ বলেই পরিচিত সেখানে স্পিনারদের সাহায্য পাওয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞদের ভ্রু কুঁচকে গিয়েছে। বিস্মিত দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ক্রিকেটাররা। প্রথম দিন ৯০ রানে তিন উইকেট পেয়েছেন ভারতের অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। প্রোটিয়া ওপেনার এইডেন মার্করাম জানিয়েছেন, পিচের এই চরিত্র দেখে তাঁরা বিস্মিত। ভাবতেই পারিনি অশ্বিন পিচ থেকে এতটা সাহায্য পাবে। অশ্বিনকে খেলা কঠিন। ফ্ল্যাট উইকেটেই ওকে খেলাটা সমস্যার। আর পিচ থেকে সাহায্য পেলে তো আর বলার কিছু নেই। পিচ থেকে সাহায্য নিয়ে ও খুব ভালো বোলিং করছে। এজন্য অশ্বিনকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। এখন দেখার পিচ আরও শক্ত হয়ে ওঠে কিনা। দেখতে হবে, বাকি দিনগুলিতেও বল এভাবেই স্পিন করে কিনা বা ঘাসের জন্য এভাবে বল ঘুরেছে। এজন্য আগামী দুদিন পিচের চরিত্রের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
অল্পের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি মার্করাম। ৯৪ রানে অশ্বিনের বলে আউট হয়ে যান তিনি। প্রথম দিনের শেষে অশ্বিনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। মার্করাম বলেছেন, অশ্বিন বিশ্বমানের বোলার। ও ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষায় ফেলে দেয়। দারুণ ফিল্ডিংও সাজায়। ওকে খেলাটা সহজ নয়। গত সপ্তাহে যা হয়েছিল, তারপর ও নিশ্চয় ভাবতে পারেনি যে, এ রকম বোলিং করা যাবে।
প্রথম দিন দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট মার্করাম। তিনি বলেছেন, টসে জিতে বোলিং নিয়ে আমরা খুব ভালো লড়াই করেছি। শুরুটা ভালো হয়েছে। হাসিম আমলা ও এবি ডিভিলিয়ার্সের পার্টনারশিপটাও জমে গিয়েছিল। শেষের দিকে ওই কয়েকটা উইকেট না হারালেই ভালো হত। কিন্তু খেলায় এ রকম হতেই পারে। তবে আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে এবং দ্বিতীয় দিন সকালে প্রতিটা রানের জন্য লড়াই করতে হবে।
মার্করাম বলেছেন, আমাদের কয়েকজন দীর্ঘদেহী বোলার রয়েছে। এই পরিবেশে খেলতে আমরা অভ্যস্ত। এখন দেখার ভারতীয়রা কেমন ব্যাটিং করে।
সেঞ্চুরি মিস করে যে তিনি হতাশ তা গোপন করেননি মার্করাম। কিন্তু নিজেকে বুঝিয়েছি যে, এটা খেলার অঙ্গ। ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখতে হবে।