বুয়েনস এয়ার্স: কোন কিংবদন্তী ফুটবলার যেন বলেছিলেন, মারাদোনা ফুটবলের শব্দ শুনতে পান। সেই ফুটবল আজ মারাদানো-হীন। মাত্র ৬০ বছরেই চলে গেলেন বিশ্ব ফুটবলের রাজপুত্র। ফুটবল জগতে শোকের ছায়া। ফুটবল বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালে টেলিভিশন সম্প্রচারে লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে কোনও কোচের ড্রিবলিং ক্যামেরার নজর খুঁজে নেয়..তিনি মারাদোনা হলে। সেই মারাদোনার প্রয়ানে শোকস্তব্ধ প্রাক্তন থেকে বর্তমান খেলোয়াড়রা।


১৯৮৬-র আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক মারাদোনা ক্লাব পর্যায়ে বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি ও সেভিলার হয়ে। নাপোলির হয়েই ক্লাব পর্যায়ে তাঁর সাফল্য সবচেয়ে বেশি। ১৯৮৭ ও ১৯৯০-এ সিরি এ, ১৯৮৭-তে ইতালিয়ান কাপ ও ১৯৯১-তে ইউরোপিয়ান কাপ জয়।

মারাদোনার প্রয়াণে গভীর শোক ও মর্মবেদনা প্রকাশ করেছে বিশ্বের বিভিন্ন নামী ক্লাব।
আর্জেন্টিনা ও মারাদোনা যেন সমার্থক হয়ে উঠেছিল। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্ডেজ তাঁর শোকবার্তায় বলেছেন, তুমি বিশ্বে আমাদের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিলে। আমাদের সুখী করেছিলে। তুমি সবার চেয়ে মহান। আমাদের এখানে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সারাজীবন ধরে আমরা তোমার অভাব অনুভব করব।
গভীর শোক প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
আর্জেন্টিনার বর্তমান ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি ইনস্টাগ্রামে শোকবার্তায় লিখেছেন, আর্জেন্টিনা ও ফুটবলের কাছে খুবই দুঃখের দিন। তিনি আমাদের ছেড়ে গিয়েছেন, কিন্তু চলে যাননি। কারণ, দিয়েগো তো চিরন্তন। আমি ওঁর সঙ্গে কাটানো সুন্দর সময়গুলি মনের মণিকোঠায় রেখে দিয়েছি। আমি তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের সমবেদনা জানাই।



পর্তুগালের ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ট্যুইট- আজ আমি একজন বন্ধুকে বিদায় জানাচ্ছি, আর বিশ্ব এক চিরন্তন প্রতিভাকে। সর্বকালের অন্যতম সেরা। অতুলনীয় জাদুকর। খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলেন তিনি। কিন্তু রেখে গিয়েছেন এক সীমাহীন উত্তরাধিকার এবং এমন এক শূন্যতা যা কখনও পূর্ণ হওয়ার নয়। আত্মার শান্তিকামনা করছি। চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবেন।