নয়াদিল্লি: রিও অলিম্পিক্সের জিমন্যাস্টিকে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছে ভারতের দীপা কর্মকারের। কিন্তু তাঁর পারফরম্যান্স সারা দেশকে মুগ্ধ করেছে। ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছরের রাজীব খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য দীপার নাম সুপারিশ করা হতে পারে। ইতিমধ্যেই  শ্যুটার জিতু রাইয়ের নামও এই পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ন্যাশনাল রাইফেলস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (এনআরএআই)-র সভাপতি রাজীব ভাটিয়া এ কথা জানিয়েছেন।
এবার দীপার নামও এই পুুরস্কারের জন্য সুপারিশ করা হতে পারে বলে জানা গেছে। এবারই প্রথম অলিম্পিক্সে খেলেছিলেন দীপা। ভারতের প্রথম মহিলা হিসেবে অলিম্পিকে  জিমন্যাস্টিকের ফাইনালে খেললেন ত্রিপুরার এই তরুণী। ১৫.০০৬ স্কোর করে নিজের আগের সেরা পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে গেলেও মাত্র ০.১৫০ পয়েন্টের জন্য ব্রোঞ্জ পদক হাতছাড়া হয় তাঁর। ফাইনালে শেষ প্রতিযোগী আমেরিকার সাইমন বাইলসের খেলার আগে পর্যন্ত তৃতীয় স্থানে ছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত চতুর্থ হিসেবে শেষ করতে হয় তাঁকে।  ১৫.৯৬৬ স্কোর করে সোনা জেতেন বাইলস।


দীপা এর আগে ২০১৪-তে গ্লাসগো কমনওয়েল্থ গেমসে ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাস গড়েছিলেন দীপা। প্রথম মহিলা জিমন্যাস্ট হিসেবে তিনি পদক জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেন। ওই বছরই হিরোশিমায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। ২০১৫-তে ভারোত্তোলকের প্রশিক্ষকের মেয়ে কেরালায় জাতীয় গেমসে পাঁচটি ব্যক্তিগত বিভাগেই সোনার পদক পান। পরে জাপানে এশিয়ান আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পান দীপা।
অন্যদিকে, জিতু রাইও এবারের অলিম্পিকে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও বিশ্বে পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে তাঁর র‌্যাঙ্কিং তিন। রিওতে অভিনব বিন্দ্রার পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে নিজেদের বিভাগে ফাইনালে খেলেন জিতু রাই। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল প্রতিযোগিতায় অষ্টম স্থানে শেষ করেন তিনি।
এশিয়ান গেমস ও কমনওয়েল্থ গেমসে সোনা জয়ী জিতু আইএসএসএফ বিশ্বকাপেরও পদকজয়ী। নেপাল-জাত জিতু রাই এবার অলিম্পিক্সে পদক জয়ের অন্যতম দাবিদার ছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত ওই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।