ঘরে ফেরার পর দীপা বলেছেন, ‘রিও যাওয়ার আগে সাই কর্তারা জানতে চেয়েছিলেন, আমার বিদেশি কোচ চাই কি না। আমি বলেছিলাম, ভারতীয় কোচেরা আমাদের জন্য অনেক বেশি পরিশ্রম করেন। বিশ্বেশ্বর নন্দীর কোচিংয়ে আমি খুব খুশি। রিও অলিম্পিকে পদক পাওয়া সিন্ধু, সাক্ষীর কোচেরাও ভারতীয়।’
এবারের অলিম্পিকে ভারতের মহিলা অ্যাথলিটদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে খুশি দীপা। তিনি কন্যাসন্তান বাঁচানো এবং তাদের পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছেন।
দীপাকে সংবর্ধনা দিতে হাজির ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি সরকারি চাকরিতে দীপা ও তাঁর কোচের পদোন্নতির কথা ঘোষণা করেছেন। পরিকাঠামোর অভাবের কথা স্বীকার করে নিয়ে রাজ্যে একটি বিশ্বমানের জিমন্যাসিয়াম তৈরি করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দীপার সম্মানে মঙ্গলবার সব স্কুল বন্ধ থাকবে।
দীপার কোচ জিমন্যাস্টিকের পরিকাঠামোর উন্নতির আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ত্রিপুরায় প্রতিভার অভাব নেই। ঠিকমতো সুযোগ-সুবিধা পেলে পরবর্তী অলিম্পিকে ত্রিপুরা থেকেই কোনও জিমন্যাস্ট পদক আনতে পারেন।