নয়াদিল্লি: টোকিও অলিম্পিক্সে ষষ্ঠ স্থানে থেকে শেষ করেছিলেন। ডিসকাস থ্রোয়ার হিসেবে যথেষ্ঠ নামডাক অর্জন করেছিলেন। কিন্তু এবার ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হয়ে তিন বছরের জন্য নির্বাসিত হলেন কমলপ্রীত কৌর। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের তরফে নির্বাসিত করা হয়েছে কমলপ্রীতকে।
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স ইন্টিগ্রিটি ইউনিট তাঁদের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে যে কমলপ্রীত কৌর ডোপিংয়ের নিয়ম ভেঙেছেন। নিষিদ্ধ ঔষুধ স্ট্যানোজোলল ব্যবহার করার কারণে তাঁর উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই বিষয়ে নিজে স্বীকারও করে নিয়েছেন কমলপ্রীত। টোকিও অলিম্পিকে ষষ্ঠ স্থান অর্জনকারী কমলপ্রীত কৌরের উপর নিষেধাজ্ঞা ২৯ শে মার্চ, ২০২২ থেকে কার্যকর হবে, যার অর্থ হল ৭ মার্চ আসা তার ফলাফল আর বৈধ হবে না।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, গত ৭ মার্চ ২০২২ কমলপ্রীতের স্যাম্পেল পাতিয়ালায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই স্ট্যানোজোলল নামক নিষিদ্ধ ঔষুধের মাত্রা পাওয়া গিয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি প্রোটিন সাপ্লিমেন্টের দুটো স্কুপ খেয়েছিলেন কমনপ্রীত। সেখানে এই নিষিদ্ধ ঔষুধের মাত্রা ছিল।
সুনীলের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন
কুস্তিগির সাগর রানা খুনের মামলায় অলিম্পিয়ান সুশীল কুমার সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করা হল দিল্লির একটি আদালতে। চার্জে নাম রয়েছে দুই পলাতক অভিযুক্তেরও। ২০২১ সালের ২ জুন থেকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন সুশীল। এবার আরও ১৭ জনের নাম সামনে এল। উল্লেখ্য, ঘটনার দিন রাতে দিল্লির ছত্রসাল স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে সাগর ও তাঁর ২ বন্ধুকে বেধড়ক মারেন সুশীল। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন সুশীলের আরও কয়েকজন সঙ্গী। সাগর মারা গেলেও তাঁর ২ বন্ধু গুরুতর আহত হন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে যে, এই ঘটনার সঙ্গে অজয়, প্রিন্স দালাল, সোনু, সাগর, অমিত এবং অন্যরা জড়িত ছিল। সুশীলদের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, হাঙ্গামা, অবৈধ জমায়েত, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে চার্জ গঠন করেছে সেই আদালত।
ছত্রশাল স্টেডিয়ামে কুস্তিগীরের হত্যার মামলায় গ্রেফতার হন দেশের হয়ে অলিম্পিক গেমসে পদকজয়ী কুস্তিগীর সুশীল। সুশীল ও তাঁর সঙ্গী অজয় কুমারকে বৃহত্তর দিল্লির মুণ্ডকা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। পুলিশের দাবি, গত ৪ মে ছত্রশাল স্টেডিয়ামে ২৩ বছরের সাগর ধনকড়কে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।