করোনা হানায় স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএল শেষ পর্যন্ত অক্টোবর-নভেম্বর উইন্ডোতে দেশের মাটিতেই করা সম্ভব হলে জাতীয় দলের প্রস্তুতির সেই ধরন কি দেখা যেতে পারে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি শিবিরের অনুশীলনেও?
কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক সেরকমই মনে করেন| অক্টোবর-নভেম্বরে আইপিএল অনুষ্ঠিত হলে শিশির সমস্যার কথা ভেবে চিন্তিত ডিকে-ও| বৃহস্পতিবার উমপুন বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গের পাশে দাঁড়াতে "সহায়তা বাহন" নামের এক গাড়ির যাত্রা শুরুর কথা ঘোষণা করল কেকেআর কর্তৃপক্ষ| ঘূর্ণিঝড় বিপর্যস্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অসহায় মানুষদের কাছে খাদ্যসামগ্রী-সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দেবে এই সহায়তা বাহন| সেটির সূচনা উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে এবিপি আনন্দর প্রশ্নের উত্তরে কার্তিক বললেন, 'আমরা এখনও নিশ্চিত নই আইপিএল কোথায়, কখন হতে পারে| আগের মতো হোম আর অ্যাওয়ে ফর্ম্যাটে খেলা হবে নাকি এক মাঠেই সব ম্যাচ হবে তাও জানি না|'
অক্টোবর-নভেম্বরে খেলা হলে দেশে, বিশেষ করে কলকাতায় শিশির তো বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে| কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন? এবিপি আনন্দকে কার্তিক বললেন, 'পূর্ব ভারতে সারা বছরই সন্ধের পর কম বেশি শিশির পড়ে| এপ্রিল-মে মাসে আইপিএল খেললেও সমস্যা হয়| নভেম্বরে সেটা বাড়বে| সেক্ষেত্রে আমাদের বল জলে ভিজিয়ে অনুশীলন করতে হবে| তাতে ভিজে বল নিয়ে সকলে আরও সড়গড় হয়ে ওঠার সুযোগ পাবে|'
করোনা পরিস্থিতিতে বল পালিশ করতে লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি| কার্তিক বলছেন, 'বোলারদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে যাবে| কারণ লালা ব্যবহার না করলে প্রথাগত সুইং পাওয়া যাবে না|'
শাহরুখ খান-জুহি চাওলার উদ্যোগে বাংলার করোনা যোদ্ধাদের পিপিই কিট দেওয়া হবে| পাশাপাশি কেকেআর-এর সিইও বেঙ্কি মাইসোর জানান, উমপুনে কলকাতার প্রচুর গাছ উপড়ে পড়ার ক্ষতিপূরণ করতে ৫ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হবে| কার্তিক ছাড়াও করোনা ও উমপুন পরিস্থিতি মোকাবিলার বার্তা দেন প্যাট কামিন্স, অইন মর্গ্যান, কুলদীপ যাদব, শুবমান গিলের মতো কেকেআর তারকারা|