গতকাল তাঁর ২৯ বলের স্পেল সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ভারতকে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছে। কপিল দেবের যে ঐতিহ্য রয়েছে, তার সঙ্গে প্রতি মুহূর্তের তুলনাটা একজন ক্রিকেটারকে পর্বতপ্রমাণ চাপের মুখে ফেলে দিতে পারে। কাজেই কপিল দেবের সঙ্গে তুলনাটা যে তাঁর পছন্দের নয় তা তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। গতকাল তিনি বলেছেন, হার্দিক হয়েই আমি এতদূর পৌঁছেছি। ৪০ টি একদিনের ম্যাচ ও ১০ টি টেস্ট খেলেছি কপিল দেব হিসেবে নয়, হার্দিক পান্ড্য হয়েই।
গতকাল ট্রেন্টব্রিজে মেঘলা পরিবেশে হার্দিক যে বোলিং করেছেন, তাঁর কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশা করছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। দুরন্ত পেসে বোলিং করেছেন তিনি। মাঝেমধ্যে বাউন্সার মিশিয়ে ব্যাটসম্যানদের নাজেহাল করেছেন। তাঁর ২৮ রানে পাঁচ উইকেটের দৌলতে এখন ম্যাচের রাশ ভারতের হাতেই।
আসলে কপিল দেবের সঙ্গে তুলনাটা সবসময় ইতিবাচক নয়।ভারতীয় দলের টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে সংকটে পড়া ব্যাটিং লাইন আপকে হার্দিক টেনে তুলতে না পারলে মাঝেমধ্যেই হাহুতাশ শোনা যায় যে, যদি কপিল দেব থাকতেন..। আর হার্দিক কোনও লুজ বোলিং করলে সেই হাহুতাশ আরও প্রবল হয়। হার্দিক ভালোমতোই জানেন সে কথা।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, তাঁরা একটা অধ্যায় তৈরি করেছেন। আমাকে হার্দিকই থাকতে দিন। অন্য কারুর সঙ্গে আমার তুলনা বন্ধ করুন। এতে আমি খুশিই হব।
প্রথম টেস্ট ম্যাচের আগে প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান ফাস্ট বোলার মাইকেল হোল্ডিং ভারতীয় দলে হার্দিকের জায়গা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি টেস্ট ক্রিকেটের উপযুক্ত কিনা, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন হোল্ডিং।
গতকাল ইংল্যান্ডের ইনিংস দুরমুশ করার পর হার্দিক বলেছেন, আমি সমালোচকদের জন্য খেলি না। তাঁরা কথা বলার জন্য অর্থ পান। আমি বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নই। আমি দেশের জন্য খেলি। আমি ঠিক কাজটাই করছি। যতক্ষণ আমার দল খুশি, ততক্ষণ অন্য কিছুকে গুরুত্ব দিই না।
চলতি সিরিজে হার্দিকের পরিসংখ্যান তাঁর হয়েই কথা বলছে। এই সিরিজে তাঁর বোলিং গড় ১৭.৫০। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সেরা। এখনও পর্যন্ত আট উইকেট নিয়েছেন। স্ট্রাইক রেট ২৪.৮০। সিরিজে দুই দলের বোলারদের মধ্যে তাঁর স্ট্রাইক রেটই সেরা।