সন্দীপ সরকার, কলকাতা: জাতীয় টেস্ট দলে তিনি ব্রাত্য। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে (WTC Final) ভারতীয় দলের বিপর্যয়ের পরেও তাঁকে দলে ফেরানো হবে, এরকম কোনও ইঙ্গিত নেই।


সেই ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) নিজের এক সিদ্ধান্তে নজির গড়লেন। দলীপ ট্রফির (Duleep Trophy) পূর্বাঞ্চল দল থেকে নিজেই সরে দাঁড়ালেন শিলিগুড়ির উইকেটকিপার। যাতে তরুণ কেউ নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পায়। ঋদ্ধির যে মানসিকতা দেখে মুগ্ধ শুভময় দাস। বাংলার প্রধান নির্বাচক রাঁচিতে রয়েছেন। পূর্বাঞ্চলের দল নির্বাচনী বৈঠকে তিনিই ছিলেন বাংলার প্রতিনিধি।


বুধবার দলীপ ট্রফির জন্য পূর্বাঞ্চল দলে ঋদ্ধিমান সাহার নাম না দেখে হৈচৈ শুরু হয়ে গিয়েছিল। জল্পনা চলছিল, জাতীয় দলের পর কি আঞ্চলিক দল থেকেও ছেঁটে ফেলা হল ঋদ্ধিমানকে?


যদিও জল্পনার অবসান হল শুভময়ের কথায়। বললেন, 'পাপালি (ঋদ্ধিমানের ডাকনাম) খেলবে কি না, তা জানতে চেয়ে ওকে ফোন করেছিলাম। ওর জবাব শুনে আমরা অভিভূত।' যোগ করলেন, 'পাপালি সাফ বলে দেয়, দলীপ ট্রফি খেলে ওর আর কিছু পাওয়ার নেই। জাতীয় টেস্ট দলে ও নেই। পাপালি বলে, আমার পরিবর্তে যদি কোনও তরুণ নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পায়, তাকেই দলে নিতে। ওর এই মানসিকতা প্রশংসনীয়।'


শুভময় বললেন, 'পাপালি যে মাপের ক্রিকেটার, দলীপ ট্রফি খেলে ওর আর নতুন করে কিছু প্রমাণ করার নেই। ওর সঙ্গে দীর্ঘদিন ক্রিকেট খেলেছি। মানিসকতাও দুর্দান্ত। তবে ভারতীয় দলে ফিরবে কি না, সেটা সম্পূর্ণ জাতীয় নির্বাচকদের ব্যাপার।'


জানা গেল, রাঁচির নির্বাচনী বৈঠকে ঝড় উঠেছিল অনুষ্টুপ মজুমদারকে নিয়ে। অন্যান্য রাজ্যের নির্বাচকেরা বলতে থাকেন, ৩৯ পেরিয়ে যাওয়া ক্রিকেটারকে কেন দলে নেওয়া হবে। পাল্টা যুক্তি দেন বাংলার প্রধান নির্বাচক। বলেন, রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার হয়ে যা পারফর্ম করেছেন অনুষ্টুপ, তাঁকে ছাড়া দল ভাবা সম্ভবই নয়। এ-ও বলা হয় যে, বয়স নয়, পারফরম্যান্সই শেষ কথা।


দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ১৫ জনের দলে ৮ জন বাংলার ক্রিকেটার।


 



রাঁচিতে দলীপ ট্রফির দল নির্বাচনী বৈঠক।


পূর্বাঞ্চলের নির্বাচিত দল: অভিমন্যু ঈশ্বরণ (অধিনায়ক), শান্তনু মিশ্র, সুদীপ কুমার ঘরামি, অনুষ্টুপ মজুমদার, রিয়ান পরাগ, বিপিন কুমার সৌরভ, অভিষেক পোড়েল, কুমার কুশাগ্র, আকাশ দীপ, শাহবাজ আমেদ, মণিশঙ্কর মুরা সিংহ, মুকেশ কুমার, ঈশান পোড়েল, অনুকূল রায় ও শাহবাজ নাদিম (সহ অধিনায়ক)।


স্ট্যান্ড বাই: সূর্যকান্ত প্রধান, আর কে দাস, সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও সচিন কুমার সিংহ।


আরও পড়ুন: সিঁড়ি ভেঙে উঠছেন তরতরিয়ে, পন্থের ভিডিও দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ক্রিকেটপ্রেমীদের