কলকাতা: আসন্ন আইএসএল (ISL 2022-23) মরসুমের প্রথম ম্যাচেই মাঠে নামবে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সামনের মাসেই শুরু হচ্ছে ভারতীয় ফুটবলের লিগ মরসুম। তার আগে আজ, বৃহস্পতিবারই (২৯ সেপ্টেম্বর) আইএসএলের জন্য নিজেদের জার্সি প্রকাশ করল ইস্টবেঙ্গল


নতুন জার্সি


ক্লাবের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে- আসন্ন আইএসএল মরসুমের জন্য দলের তিনটি জার্সির পাশাপাশি কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদেরও জার্সি একইসঙ্গে সামনে আনা হল। দলের হোম জার্সিতে স্বাভাবিকভাবেই লাল ও হলুদ, এই দুই রঙ রয়েছে। গত মরসুমের মতোই দলের অ্যাওয়ে জার্সির রঙ আবার সাদা। ইস্টবেঙ্গলের তৃতীয় জার্সি নীল রঙের। 


 






 


গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গল আইএসএলের লিগ তালিকায় একেবার সবার নীচে শেষ করেছিল। এবার ভাগ্য বদলের আশায় লাল হলুদ শিবির। শুধু বিনিয়োগকারী সংস্থার বদলই নয়, নতুন মরসুমে ইস্টবেঙ্গল দলে অনেক কিছুই বদলেছে। প্রচুর নতুন খেলোয়াড়, নতুন কোচ এনে দলকে ঢেলে সাজানো হয়েছে আবার। ডুরান্ড কাপে দল গ্রুপ পর্বের পর নক আউটে পৌঁছতে না পারলেও, মুম্বই সিটি এফসিকে হারিয়ে নিজেদের দক্ষতার হালকা আভাস দিয়েছে। 


 শুরুতেই বড় চ্যালেঞ্জ


যদিও কলকাতা ফুটবল লিগে খিদিরপুরের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেই খুশি থাকতে হয়েছে লাল হলুদকে। তাই মরসুমের প্রথম ম্য়াচে পূর্ণ শক্তির ইস্টবেঙ্গল কেমন পারফর্ম করে, সেইদিকে সকলেরই নজর থাকবে। প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষও কিন্তু একেবারেই সহজ নয়। গত মরসুমের ফাইনালিস্ট কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে ৭ অক্টোবর (শুক্রবার) নিজেদের মরসুম শুরু করবে ইস্টবেঙ্গল। তাই বোঝাই যাচ্ছে তাদের সামনে প্রথম ম্যাচেই বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে রয়েছে। 


সাফল্যের খোঁজে এটিকে মোহনবাগান


গত হিরো আইএসএলে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে হারের পর দ্বিতীয় লেগে চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ এফসি-কে (Haydrabad FC) প্রায় কোণঠাসা করে হারালেও মোট গোলের বিচারে ফাইনালে উঠতে পারেনি। প্রচুর গোলের সুযোগ হাতছাড়া হওয়া ও হায়দরাবাদের গোলরক্ষক লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমণির অসাধারণ দক্ষতা সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের। 


তবে হিরো আইএসএএলেই শেষ হয়ে যায়নি এটিকে মোহনবাগানের অভিযান। তার পরেও তারা এশীয় মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরেছে এবং সেখানেও রীতিমতো দাপট বজায় ছিল তাদের। এপ্রিলে তারা শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টার ও ঢাকার আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে গ্রুপ পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।


মে মাসে গ্রুপ পর্বে তারা গোকুলম কেরালা এফসি-র কাছে ২-৪-এ হারলেও বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ ও মলদ্বীপের মাজিয়া এসআর-কে ৫-২-এ হারিয়ে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে ওঠে। তবে ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সেই মোকাবিলায় তারা ১-৩-এ হেরে যায় কুয়ালা লামপুর সিটির বিরুদ্ধে। এ মরসুমের শুরুতে ডুরান্ড কাপেও গ্রুপ পর্বের বেড়া ডিঙোতে পারেনি সবুজ-মেরুন বাহিনী। গ্রুপের দুই সেরা দলের সমান পয়েন্ট থাকলেও মুখোমুখি লড়াইয়ের ফলের ভিত্তিতে নক আউটের দৌড় থেকে ছিটকে যায় তারা। এ বার তাদের চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন। কারণ, আরও সামনে লম্বা ঘরোয়া ক্লাব মরসুম।  


তাই এ বার দলের খোলনলচে পাল্টে ফেলেছেন সবুজ-মেরুন বাহিনীর স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো। দলকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টায়, একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী দলে নতুন খেলোয়াড় নিয়ে এসেছেন তিনি ও ক্লাবের কর্তারা। কিন্তু সেই পরিকল্পনা কতটা কার্যকরী হয়ে উঠবে, সেটাই বোঝা যাবে সারা মরশুমে।  


 


আরও পড়ুন: ব্যর্থতা ভুলে সাফল্যের খোঁজে মরিয়া এটিকে মোহনবাগান