কার্ডিফ: প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বড় রানের ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। দ্বিতীয় ম্যাচে (ENG vs SA 2nd T20) দুরন্তভাবে ইংল্যান্ডকে মাত দিয়ে সিরিজে সমতা ফেরালো প্রোটিয়া শিবির। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫৮ রানে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিতলেন ডি ককরা, সৌজন্যে রাইলি রুসো (Rilee Rossouw) ও তাবরেজ শামসি (Tabrazi Shamsi)। 


ম্যাচে ইংল্যান্ড টসে জিতে প্রথমে প্রোটিয়াদের ব্যাট করার আহ্বান জানায়। কুইন্টন ডি কক শুরুটা ঠিকঠাক করেও মাত্র ১৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন। তবে আরেক ওপেনার রেজা হেন্ড্রিক্সের সঙ্গে রুসো দলের ব্যাটিং ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান। হেন্ড্রিক্স আগ্রাসী ভঙ্গিমায় অর্ধশতরান করেন। ৩২ বলে ৫৩ রানের তার ইনিংস সমাপ্ত করেন গ্লিসন। ক্লাসেনও ১৯ রানেই ফিরে যান।


তবে রুসো নিজের তুখোর ইনিংস চালিয়ে যান। বিশ্বের বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি লিগে নিয়মিত হলেও, হালে প্রোটিয়া দলে তেমন একটা সুযোগ পাননি প্রোটিয়া দলের বাঁ-হাতি ব্যাটার। তবে এইদিন কার্ডিফে নিজের দক্ষতার পূর্ণ প্রদর্শন করলেন রুসো। দুর্ভাগ্যবশত তিনি চার রানের জন্য এক দারুণ শতরান হাতছাড়া করলেন। ৯৬ রানেই অপরাজিত থেকে যেতে হয় তাকে।


গত ম্যাচে ব্যাট হাতে অভূতপূর্ব ইনিংস খেলা, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তারকা স্টাবস এদিন তেমন আহামরি ব্যাটি করেননি। ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা তিন উইকেটে ২০৭ রান তোলে। জবাবে কোনও সময়ই দেখে মনে হয়নি ইংল্যান্ড এই বিশাল রান তাড়া করে জিততে পারবে। নিরন্তর ব্যবধানে উইকেট হারায় জস বাটলারের দল। 


জেসন রয় ২০ রান করলেও, তা আসে ২২ বলে। তার ওপেনিং পার্টনার বাটলার ১৪ বলে ২৯ রান করে শুরুটা ভাল করলেও, প্রয়োজনীয় বড় ইনিংসটি খেলতে পারেননি। গত ম্যাচের দুই নায়ক মঈন আলি ও জনি বেয়ারস্টোর গল্পটাও একইরকম। দুইজনেই যথাক্রমে ২৮ ও ৩০ রান করলেও, ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। ইংল্যান্ড টপ অর্ডারকে তিন উইকেট নিয়ে নাস্তানাবুদ করেন শামসি।


অপরদিকে, লোয়ার অর্ডারকে এনগিদি ও অ্যান্ডিলে ফেলুকাউ মিলে দ্রুত গুটিয়ে দেন। ফলে মাত্র ১৬.৪ ওভারে ১৪৯ রানেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। বড় ব্য়বধানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রবিবার সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচ খেলতে নামবে দুই দল।


আরও পড়ুন: নতুন ভূমিকায় ঝুলন, বাংলার ক্রিকেটে পেলেন বড় দায়িত্ব