লন্ডন: এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেতাব পেয়েছে ইংল্যান্ড। দলের এই সাফল্যের সোনালি পর্বের সময় স্বজন হারানোর শোক নিয়েই খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের তারকা পেসার জোফরা আর্চার। বিশ্বকাপ চলাকালেই বার্বাডোজে নিহত হন জোফরার তুতো ভাই আশান্টিও ব্ল্যাকম্যান (২৪)।  গত মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয় দিয়ে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর পরদিনই সেন্ট ফিলিপে বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন জোফরার তুতো ভাই।


এই মর্মান্তিক খবর জানা সত্ত্বেও বার্বাডোজ-জাত আর্চার ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেন এবং বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট (১১ ম্যাচে ২০) সংগ্রহ করেন। বিশ্বকাপের ফাইনালে লর্ডসে দলের হয়ে সুপার ওভার করার দায়িত্বও তাঁর ওপরেই সঁপেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইওন মর্গ্যান।

আর্চারের বাবা ফ্রাঙ্ক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, জোফরারই সমবয়সী ওর তুতো ভাই। দুজনে খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল। মৃত্যুর কয়েকদিন আগেও ও জোফরাকে মেসেজ করেছিল। ওই মৃত্যু খবর শুনে দারুণ শোকাহত হয়ে পড়েছিল জোফরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও ও খেলা চালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, বাবার জন্যই ব্রিটিশ পাসপোর্ট পেয়েছিলেন আর্চার। গত মার্চে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন তিনি।

ফ্রাঙ্ক বলেছেন, অনেকেই জোফরা কতটা খাঁটি ব্রিটিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু ওর ইংল্যান্ডের হয়ে খেলাটা দেখিয়ে দিয়েছে যে, ও সবাইকে ক্রিকেট খেলতে অনু্প্রাণিত করতে পারে। কারণ, ক্রিকেটকে সাধারণত অভিজাতদের খেলা বলে গন্য করা হয়ে থাকে।