লন্ডন ও ওয়েলিংটন: বিশ্বকাপের ফাইনালের মহাকাব্যিক লড়াই ফুটবল ও রাগবি নিয়ে আসক্ত দুটি দেশ-ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের ক্রীড়াপ্রেমীদের নজর টেনেছে ক্রিকেটের প্রতি। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা ক্রিকেট বিশ্বকাপে তাঁদের জতীয় দলের পারফরম্যান্সের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন।


৪৪ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। ১০, ডাউনিং স্ট্রিটে তাঁর সরকারি বাসভবনে ইংল্যান্ডের প্লেয়ারদের মে বলেছেন, ক্রিকেটের প্রেমে ফের দেশবাসীকে মজিয়েছেন আপনারা।

মে বলেছেন, ফাইনাল শুধু ক্রিকেটের সেরাটাই দেখা গেল না, সেইসঙ্গে খেলাধূলোর সঙ্গে যুক্ত সাহস,দৃঢ়তা, খেলোয়াডি মানসিকতা, নাটকীয়তা, অবিশ্বাস্য দক্ষতা ও এমনকি ভাগ্যের কিছুটা মাহাত্ম্যর মতো বিষয়গুলি আরও একবার তুলে ধরল। সমস্ত মিলিয়ে ফাইনালটা হয়ে উঠল রোমাঞ্চকর। হয়ে উঠল বর্তমান সময়ের ক্রীড়াক্ষেত্রে অন্যতম দর্শনীয় লড়াই।

ইংল্যান্ডে ক্রিকেট সবচেয়ে জনপ্রিয়। আর নিউজিল্যান্ডে রাগবির অনুরাগীদের সংখ্যা প্রচুর। এমন দুটি দেশে বিশ্বকাপের ফাইনালের টানটান উত্তেজনাকর লড়াই ক্রীড়াপ্রেমীদের মনোযোগ আদায় করে নিয়েছে।

ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটা বড় টুর্নামেন্টের এটা একটা যথাযোগ্য সমাপ্তি।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ব্ল্যাক ক্যাপস ব্রিগেডের চোয়ালচাপা লড়াই ও খেলোয়াড়োচিত মানসিকতায় ফাইনালের মহারণে পরাজয় মেনে নেওয়ার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, একথা একেবারেই অনস্বীকার্য যে, এটা ছিল একটা অবিশ্বাস্য ম্যাচ। সুপার ওভারে তীব্র উত্তেজনায় কাঁপছিল পুরো দেশ। ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন। আর ব্ল্যাক ক্যাপসদের জন্য গর্বিত বোধ করছি। কী অসাধারণ একটা দল।