লন্ডন: ক্রিকেট যেমন কেড়ে নেয়, তেমন ফিরিয়েও দেয়।


বেন স্টোকসকেই দেখুন। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ১৯ রান। স্টোকসকে পরপর চার বলে চারটি ছক্কা মেরে নাটকীয়ভাবে ট্রফি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। দর্শকঠাসা ইডেন দেখেছিল ইংরেজ অলরাউন্ডারের কান্নায় ভেঙে পড়ার করুণ ছবি।

ওয়ান ডে বিশ্বকাপে যেন শাপমোচন ঘটল স্টোকসের। ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক স্টোকস। তাঁর অপরাজিত ৮৪ রানের লড়াকু ইনিংস রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে দিয়েছে। সেই স্টোকস তাঁর পরবর্তী লক্ষ্যও স্থির করে ফেলেছেন। আর সেটা হল অ্যাশেজ সিরিজ জয়।

ম্যাচের পর স্টোকস বলেছেন, ‘অবিশ্বাস্য অনুভূতি। ট্রফিটা জিততে না পারলে ধ্বংস হয়ে যেতাম। তবে ম্যাচটা হয়তো ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা হিসাবে থেকে যাবে। বিশ্বকাপের ফাইনালে যা নাটক প্রত্যাশা করা হয়, সবই ছিল। এই ম্যাচের অংশ হতে পারাটা অভূতপূর্ব ব্যাপার।’

১ অগস্ট থেকে শুরু অ্যাশেজ সিরিজ। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে অ্যাশেজ পুনর্দখল করাকেই পাখির চোখ করেছেন ইংরেজ অলরাউন্ডার। স্টোকস বলেছেন, ‘আমরা হয়তো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তবে অ্যাশেজও জিততে চাই। দলের সকলেই এখন নিজেদের চ্যাম্পিয়ন ভাবার যোগ্য। তবে অ্যাশেজের জন্য ফের নতুন করে লড়াই করতে হবে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের হার নিয়ে স্টোকস বলেছেন, ‘ওটা অতীত। আমি ভুলে গিয়েছি। এখন কী হচ্ছে আর ভবিষ্যতে কী হবে, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি এই মুহূর্তটা উপভোগ করতে চাই।’

নিউজিল্যান্ডের রান তাড়া করতে নেমে এক সময় এক বলে দুরান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। স্টোকস বলেছেন, ‘আমি ঠিক করেছিলাম হাওয়ায় মেরে ক্যাচ দেব না। মনে মনে ভেবেছিলাম, ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়ে নায়ক হয়ে যাব, সেই প্রলোভনটাকে সামলাতে হবে। তবে চেয়েছিলাম যাতে দুরান হয়ে যায়। দশ মিনিটের জন্য ড্রেসিংরুমে ফেরাটা সন্তোষজনক ছিল না।’

সুপার ওভার শুরু হওয়ার আগে কী ভাবছিলেন? স্টোকস বলেছেন, ‘ড্রেসিংরুমে ফিরে দশ মিনিটের মধ্যে পাঁচ মিনিট শাওয়ারের নীচে কাটাই। খুব বিরক্ত আর রেগে ছিলাম। তারপর নিজেকে সংযত করি কারণ কাজ তখনও বাকি ছিল।’