লন্ডন: গত ১১ জুলাইয়ের ঘটনা। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইউরো কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও ইতালি। ১৯৬৬ সালের পর সেই প্রথম বড় কোনও টুর্নামেন্টে ট্রফি জয়ের সুযোগ ছিল ইংরেজদের সামনে। স্বাভাবিকভাবেই স্টেডিয়াম উপচে পড়েছিল ভিড়ে। কোভিডকালে যে ছবি দেখে চমকে উঠেছিলেন অনেকে।


সেই ম্যাচে প্রায় আড়াই হাজার ফুটবলপ্রেমী করোনা আক্রান্ত অবস্থাতেই মাঠে গিয়ে খেলা দেখেছিলেন! তাঁদের থেকে সংক্রমিত হন আরও প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ!


চমকে ওঠার মতোই এই তথ্য দিয়েছে ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগ। জানিয়েছে, ইংল্যান্ড বনাম ইতালি ইউরো কাপের ফাইনালে যাঁরা ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ২২৯৫ জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এবং ফাইনালে তাঁদের থেকেই সম্ভবত আরও ৩৪০৪ জন ফুটবলপ্রেমী সংক্রমিত হন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ৫ হাজার সাতশো। জানা গিয়েছে, এই পরিসংখ্যান দেখে বেশ চমকে উঠেছে ইংল্যান্ডের প্রশাসন। বলা হচ্ছে, ইউরো ফাইনাল ছিল 'সুপারস্প্রেডার'। অর্থাৎ এমন একটা ম্যাচ যা থেকে বিপুল পরিমাণে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।


ইউরো কাপের ফাইনাল নিয়ে চরম উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল লন্ডনে। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই উৎসবের পরিবেশ ছিল লন্ডনে। সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন মানুষজন। অফিশিয়াল সাইটে অনেক আগেই সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। টিকিটের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। প্রতিটি টিকিটের দাম পরেছিল ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। এই ম্যাচ লন্ডন সহ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, পাব এবং নানা ফ্যান-জোনে দেখা গিয়েছিল। ফ্যান-জোনের টিকিট বিনামূল্যে বিলি করা হয়েছিল। তবে কিছু টাউট ওয়েবসাইটে ফ্যান-জোনের টিকিটও চড়া দামে বিক্রি হয়েছিল।


ইউরো কাপের ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ১-১ ছিল। প্রথমার্ধে ২ মিনিটের মাথায় লিউক শয়ের গোলে ইংল্যান্ড এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে ৬৭ মিনিটের মাথায় লিওনার্দো বোনুচ্চির গোলে সমতা ফেরায় ইতালি। এরপরই যদিও নির্ধারিত সময়ে আর কোনও দলই গোল করতে পারেনি।ম্যাচ টাইব্রেকারে পৌঁছেলে সেখানে ৩-২ গোলে জেতে ইতালি। টাইব্রেকারে গোল করতে পারেননি র‌্যাশফোর্ড, স্যাঞ্চো ও বুকায়ো।