লন্ডন: ফুটবল সমর্থকদের দীর্ঘদিনের দাবি কি শেষ পর্যন্ত মিটতে চলেছে? ইউরো কাপের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে কি নামবে কোপা আমেরিকার ট্রফিজয়ীরা?


ইউরোপের ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা উয়েফা (UEFA) ও লাতিন আমেরিকার ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা কনমেবল (CONMEBOL) এই ম্যাচের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। দুই সংস্থার কর্তারা এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা শুরু করেছে। এবং সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক চলে আগামী বছর এই ম্যাচ আয়োজিত হতে পারে।


আন্তর্জাতিক সুপার কাপ ধাঁচের এই টুর্নামেন্ট আয়োজিত হতে পারে ২০২২ সালে। কনফেডারেশনস কাপের পরিবর্তে হতে পারে এই টুর্নামেন্ট। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা-র কর্তারাও চাইছেন যে, বিশ্বকাপের আগে অপেক্ষাকৃত সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটের একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে। সেক্ষেত্রে ইউরো ও কোপা চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে সুপার কাপ হতে পারে আদর্শ বিকল্প। শোনা গিয়েছে উয়েফার প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার সেফেরিন ও কনেমবলের প্রেসিডেন্ট আলেজ়ান্দ্রো ডমিনগেজ় এই টুর্নামেন্ট যাতে দিনের আলো দেখে, তা নিয়ে উদ্যোগী হয়েছেন।


টুর্নামেন্টের ফর্ম্যাট কী হবে, কটি দল খেলবে, তা নিয়ে যদিও জল্পনা চলছে। ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার ফুটবল কর্তাদের কেউ কেউ বলছেন, ইউরো কাপের দুই ফাইনালিস্ট ও কোপা আমেরিকার দুই ফাইনালিস্ট, অর্থাৎ ৪ দলকে নিয়ে টুর্নামেন্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্টের পরিসরও কিছুটা বাড়বে।


তবে ভিন্ন মতও রয়েছে। বলা হচ্ছে, বিশ্বকাপের বছরে চার দলকে নিয়ে আর একটি টুর্নামেন্ট করা অপ্রয়োজনীয়। বরং শুধু চ্যাম্পিয়ন দুই দলের মধ্যে খেলা হোক। এবং সেই ম্যাচের বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হোক ট্রফি। তাতে টুর্নামেন্টের আকর্ষণ আরও বাড়বে। তবে টুর্নামেন্টটি বিশ্বকাপের আয়োজক দেশে করার কথা ভাবা হচ্ছে। যাতে এই টুর্নামেন্টের মধ্যে দিয়েই বিশ্বকাপের ফুটবল যজ্ঞ শুরু করে দেওয়া যায়।


অর্থাৎ বিশ্বকাপের আগে ফের একবার লিওনেল মেসি বনাম হ্যারি কেন কিংবা নেমার বনাম লোরেঞ্জো ইনসাইনে লড়াইয়ের সম্ভাবনা।